টিআরপি-তে প্রতি সপ্তাহে ভালই ফল করে জি বাংলার 'আনন্দী'। গল্পের নানা মোড়ে দর্শকের মন জয় করেছেন 'আদি-আনন্দী' ওরফে ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় ও অন্বেষা হাজরা। এবার গল্পে এল বিরাট চমক। এক ধাক্কায় সাত বছর এগিয়ে গিয়েছে এই মেগার গল্প।
এখন আদি-আনন্দীর সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী টিম সুপার সিক্স। সুপার সিক্স হল ছ'জন ডাক্তারের একটা দল। দলে রয়েছে আনন্দী ছাড়াও নন্দনা, সুপর্ণা, দ্রোণ ও বিক্রম। আর এদের সবার নেতৃত্বে আর কেউ নয় আদি স্বয়ং। কিন্তু এর মাঝেই বিপদ। দুর্ঘটনায় মৃত্যু পথযাত্রী আদি! বহু কসরত করে তার অপারেশন করে সুস্থ করে আনন্দী। সুস্থ হলেও স্মৃতি হারিয়ে ফেলে আদি।
স্মৃতি হারিয়ে একেবারে ভিন্ন মানুষ হয়ে ওঠে সে। নিজের পরিবার, কাছের মানুষদের ভুলে যায়। এমনকী আনন্দীকেও ভুলে যায় সে। কিন্তু হাল ছাড়ে না আনন্দী। সে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যায় আদিকে পুরনো কথা মনে করাতে। কিন্তু বারবার বিফলে যায় তার সব চেষ্টা। সাদা শার্ট-প্যান্ট ছেড়ে টিশার্ট আর ছেঁড়া জিন্সে এখন অন্য আদি। তাকে দেখে চক্ষু চড়কগাছ বাড়ির সবার। এদিকে, বউ যতই চেষ্টা করুক তার স্মৃতি ফেরাতে, সে তাকে অচেনা মহিলা ভেবে বৌদি বলে ডাকে!
এদিকে, কিছুদিন আগেই আদিদের হাসপাতাল মেডিনেস্ট দখল করতে আসে একদল গুণ্ডা। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল করণজিৎ। করণের সঙ্গে আদি ও আনন্দীর মারাত্মক বচসা হয়। হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। তবে আনন্দীর উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বিপদ থেকে মুক্তি হয় আদির পরিবার ও মেডিনেস্টের সবাই।
এর মধ্যে ঝগড়া, অশান্তির মাঝেই আনন্দীর প্রেমে পড়ে করণজিৎ। আনন্দীর প্রতি করণের ভালবাসা দিন দিন বাড়তে থাকে। এটা নজর এড়ায় না আদির। সে করণকে বারবার সাবধান করে। আনন্দীর থেকে দূরে সরে যাওয়ার কথা বলে সে। কিন্তু করণজিৎ-এর জেদ চেপে বসে। সে কিছুতেই আনন্দীর কাছাকাছি আদিকে আসতে দেয় না। তাই ছক কষতে থাকে, কীভাবে আদিকে আনন্দীর জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়।
