আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধর্মান্তর চক্রের মূল অভিযুক্ত ছঙ্গুর বাবা আপাতত জেলে। কিন্তু সময়ের সঙ্গেই তাঁর একের পর কীর্তি সামনে আসছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন,  ছঙ্গুর বাবা নিজেকে একটি আরএসএস-ঘনিষ্ঠ সংগঠনের সিনিয়র সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন। শুধু তাই নয়, ওই সংগঠনের লেটারহেডে ব্যবহার করতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি।

নিজেকে 'ভারত প্রতিবর্ত সেবা সঙ্ঘ' নামক এক সংগঠনের অবধ অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করতেন ছঙ্গুর বাবা ওরফে জামালুদ্দিন। এই সংগঠনটি পরিচালনা করতেন অপর এক মূল অভিযুক্ত ঈদুল ইসলাম। তদন্তকারীদের মতে, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্যই সংগঠনের নামটিই ওইরকম রাখা হয়েছিল।  

সংগঠনের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে নাগপুরে সঙ্ঘের সদর দপ্তরের কাছে ভুয়ো কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন ঈদুল ইসলাম ।

তদন্তে উঠে এসেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার সময় নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে ছঙ্গুর বাবা ও ঈদুল, আরএসএস-এর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার নাম উল্লেখ করতেন।

আরও পড়ুন-  মন ভাল করা খবর, ওড়িশায় শিশুদের জন্য খেলার মাঠ উপহার দিলেন স্থানীয় যুবকরা

বালরামপুরের বাসিন্দা ছঙ্গুর বাবাকে চলতি মাসের শুরুতেই গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। অভিযোগ, তিনি দরিদ্র পরিবার, বিশেষত নাবালিকাদের নিশানা করতেন এবং ধর্মান্তর চক্র চালাতেন।

ছঙ্গুর বাবার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর-এর উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড উল্লেখ করেছে, তিনি বিদেশি অর্থের সাহায্যে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করেছিলেন।

তদন্তে উঠে এসেছে, ছঙ্গুর বাবা বিভিন্ন উপসাগরীয় দেশ এবং সম্ভবত পাকিস্তান থেকেও ৫০০ কোটি টাকার বেশি বিদেশি অনুদান পেয়েছিলেন।
অর্থনৈতিক এই দিকটি এখন খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এজেন্সির দাবি, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ছঙ্গুর বাবার নামে ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি রয়েছে, যার অনেকটাই সরকারি জমি দখল করে তৈরি।

ইডি আরও জানিয়েছে, মোট ২২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে ৬০ কোটিরও বেশি টাকা তছরুপের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া, মুম্বইয়ে ‘রণওয়াল গ্রীন্স’ নামে একটি বহুতল কমপ্লেক্সের সন্দেহজনক লেনদেন এবং পানামাভিত্তিক ‘লোগোস মেরিন’ নামক একটি সংস্থার সঙ্গে ছঙ্গুর বাবার যোগসূত্রেরও প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।