নিজস্ব সংবাদদাতা: রোশনাই-এর সঙ্গে দূরত্ব ক্রমশ বেড়েই চলছে আরণ্যকের। ফের একবার বিয়ের পিঁড়িতে আরণ্যক ও গরিমা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে হবে কি? জানতে আজকাল ডট ইন পৌঁছে গিয়েছিল মুভিটোন স্টুডিওতে, স্টার জলসার ধারাবাহিক 'রোশনাই'-এর শুটিং ফ্লোরে।

 

 

 

 

ফ্লোরে ঢুকতেই যেন মনে হল বিয়ে বাড়িতে এসে পড়েছি। চারিদিকে সাজ সাজ রব। বিয়ের আসর বসেছে। পুরোহিতও রয়েছেন, কিন্তু বর-কনে কোথায়? খুঁজছেন ফ্লোর ম্যানেজারও।‌ ততক্ষণে পরিচালকের হাঁক ডাক শুরু হয়ে গিয়েছে। লাইট রেডি, আর্টিস্ট কই? ফ্লোরের বাইরে আসতেই দেখা মিলল আরণ্যক-গরিমার। নিজস্বী তুলতে ব্যস্ত তাঁরা। দূর থেকে ফ্লোর ম্যানেজারকে আসতে দেখেই দে ছুট! ফ্লোরের পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকলেন বকা খাওয়ার ভয়ে। দু'জনের ক্লোজআপ শট নেওয়ার পর আবার কিছুক্ষণের বিরতি। সেই ফাঁকে জমল আড্ডা। 

 

 

 

কত নম্বর বিয়ে হল? প্রশ্ন শুনে জোরে হেসে উঠলেন পর্দার 'গরিমা' ওরফে লেখা চট্টোপাধ্যায়। হাসি থামিয়ে বললেন, "গুনে শেষ করা যাবে না। আমি ক্লান্ত বউ সাজতে সাজতে।" আরণ্যক সত্যিই কার সঙ্গে সংসার করতে চায়? 'আরণ্যক'-এর চরিত্রে অভিনয় করছেন শন বন্দ্যোপাধ্যায়। লাজুক স্বরে তাঁর জবাব, "সেটা আমি ঠিক জানি না। তবে রোশনাইকে খুব ভালবাসে। আর গরিমার প্রতি একটা দায়িত্ববোধ আছে।" শনের কথা শেষ হওয়ার আগেই লেখা বলেন, "এভাবে দুই নৌকায় পা দিয়ে কিন্তু মোটেই চলা যায় না। গরিমার উচিৎ নিজের আত্মসম্মানকে গুরুত্ব দেওয়া। আর কতদিন এভাবে পড়ে থাকবে?"

 

 

এর আগে তো আরণ্যক নিজে রোশনাই-এর জন্য পাত্র খুঁজে এনেছে। এবার গরিমার কষ্ট দেখে তাকেও কি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেবে সে? শন বলেন, "হ্যাঁ, এরকম হতেই পারে। কারণ, আরণ্যক যেমন উদার মনের মানুষ, ওর পক্ষে এরকম কিছু করা আশ্চর্যের নয়। হয়তো নতুন নায়ক আসবে গরিমার জন্য।" শনের কথায় সায় দিয়ে লেখা বলেন, "এবার গরিমার মুভ অন করা উচিৎ। অনেকদিন তো এভাবে কাটানো হল। এবার নিজের খুশির কথাটা ভাবা উচিৎ। তাই জীবনে নতুন মানুষ এলে ক্ষতি নেই।"

 

 

লেখার জীবনে রোশনাই-এর মতো কেউ থাকলে কী করতেন? একটু চুপ করে থেকে বলেন, "জানি না ঠিক কী করতাম। তবে মুখ বুজে মোটেই সহ্য করতাম না। আমার প্রেমিককে কেউ ছিনিয়ে নেবে আর আমি বসে বসে দেখব, সেটা একেবারেই সম্ভব নয়।" লেখার কথা শুনে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকেন শন।‌ কথা শেষ হতেই বলেন, "ভাগ্যিস এটা ধারাবাহিক! নয়তো রক্তারক্তি কাণ্ড হয়ে যেত।" 

 

 

আড্ডার মাঝে দরজায় কড়া নাড়ছে কে? স্বয়ং ফ্লোর ম্যানেজার এসে দাঁড়িয়ে। এখনই সিনে যেতে হবে। তাই আর দেরি নয়, দু'জনকে সঙ্গে নিয়েই তড়িঘড়ি ফ্লোরে ছুটলেন।