আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ কলকাতা আবার হারল রে। 


শুভমান গিলকে ছেড়ে দিয়েছিল কলকাতা। সেই গিল করে গেলেন ৫৫ বলে ৯০। কলকাতা রেখে দিয়েছে সুনীল নারাইন আর আন্দ্রে রাসেলকে। প্রথমজন ৪ ওভারে ৩৬ রান দিলেন। নেই কোনও উইকেট। ব্যাট হাতে করলেন ১৭। আর রাসেল?‌ ১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৩ দিলেন। হ্যাঁ, ওপেনিং জুটিটা ভেঙেছেন। ব্যাট হাতে ২১। 


সহজ ক্যাচ মিস বাটলারের। আউট হওয়া নিশ্চিত। তা না হয়ে গেল চার রান। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের এই খারাপ দশার পিছনে কারা?‌ টিম ম্যানেজমেন্ট?‌ সল্ট, স্টার্কের মতো ক্রিকেটারদের ছেড়ে বছরের পর বছর ধরে বয়ে চলা হচ্ছে রাসেল ও নারাইনকে। রাসেল কবে ব্যাট হাতে ১৫ বলে ৫০ বলে দলকে জিতিয়েছেন হয়ত নিজেও ভুলে গেছেন। 


কলকাতার বোলিং নিয়ে বলার কিছু নেই। টস জিতে শুরুতে বোলিং নেওয়া কেকেআরের বিরুদ্ধে গুজরাট তুলল ৩ উইকেটে ১৯৮। শেষ ওভারে উঠল ১৮ রান। ওপেনিং জুটিতে গিল ও সুদর্শন করে গেলেন ১১৪। ৩৬ বলে ৫২ করেন বাঁহাতি ওপেনার। তিনে নেমে বাটলারের অবদান ২৩ বলে ৪১। নেমেই টানা তিনটে চার। একেবারে বাটলার সুলভ। নিলামে এই প্লেয়ারগুলোর দিকে কী নজর পড়ে না কেকেআরের?‌ সত্যিই অদ্ভুত?‌


শীর্ষে থাকা দল গুজরাটের বিরুদ্ধে কলকাতা জিততে পারেনি। গতবারের চ্যাম্পিয়ন যে এই দল কেউ বলে না দিলে বোঝা যাবে না। 


জবাবে কলকাতা থামল ১৫৯ রানে। এবারের আইপিএলে প্রথমবার খেলতে নেমে গুরবাজ রান পাননি। নারাইনও ব্যর্থ। অধিনায়ক রাহানে (‌৫০)‌ চেষ্টা করেছিলেন। ২৩ কোটির বেঙ্কটেশ বিরক্তি বাড়াচ্ছেন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার রঘুবংশী কেন নয় নম্বরে নামলেন বোধগম্য হল না। কলকাতার পুরো পরিকল্পনাই ঘেঁটে ঘ। 
গুজরাট বোলাররা ভাল বোলিং করলেন। কিন্তু কলকাতা যে হেরে গেল পরিকল্পনার অভাবেই। শেষ অবধি থামল ১৫৯ রানে।