আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিতর্ক তাঁকে নিয়ে কম হয়নি। কেউ কেউ রাজনীতিতে তাঁর যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিস্তর। তবে সংসদ চত্বরে, লোকসভার বিরোধী দলনেতার বিস্ফোরক মন্তব্যে একপ্রকার তোলপাড় বুধবার। কংগ্রেস নেতা, লোকসভার বিরোধী দলনেতা যে অভিযোগ বুধবার তুললেন সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে, সেই অভিযোগ এর আগেও দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি করেছে বারবার।
রাহুলের অভিযোগ কী? কংগ্রেস নেতা বলছেন, সংসদে গত ৭-৮দিন কিছু বলতেই দেওয়া হয়নি খোদ লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে। এতদিন পর্যন্ত বারেবারে সংসদ চত্বরে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা। রাহুলের অভিযোগ তাতে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
রাহুল এদিন অভিযোগে স্পষ্ট জানান, তিনি সংসদে যখনই উঠে দাঁড়িয়েছেন কিছু বলার জন্য, স্রেফ তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। সংসদে বিরোধীদের কথা বলার যে অধিকার রয়েছে সেকথা মনে করিয়ে রাহুল বলেন, তিনি স্পিকারের কাছে যতবার নিজের মত ব্যাক্ত করার অনুমতি চেয়েছেন, কিছুতেই অনুমোদন মেলেনি। ওম বিড়লার দিকে সরাসরি অভিযগের আঙুল তুলে তাঁর অভিযোগ, ‘আমি জানি না কী হচ্ছে। আমি তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম আমাকে কথা বলতে দেওয়ার জন্য কিন্তু তিনি পালিয়ে গেলেন। এভাবে সংসদ পরিচালনা করা যায় না। স্পিকার চলে গেলেন , আমাকে কথাটুকু বলতে দিলেন না। তিনি আমার সম্পর্কে ভিত্তিহীন কিছু বললেন, তারপর সংসদ মুলতবি করে দিলেন।‘
কংগ্রেস নেতার আরও বক্তব্য, ‘যখনই আমি উঠে দাঁড়াই, আমাকে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয়। আমি কিছুই করিনি, আমি চুপচাপ বসে ছিলাম।‘ মোদির কুম্ভ মেলা প্রসঙ্গে বক্তব্যের রেশ টেনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন কুম্ভ মেলা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন, রাহুল দেশের বেকারত্ব নিয়ে কিছু কথা বলতে চেয়েছিলেন। সেই সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি তাঁকে।
উল্লেখ্য, এর আগে লোকসভার স্পিকার বিরোধী দলনেতাকে সংসদের নিম্নকক্ষের মর্যাদা পালন এবং নিয়ম মেনে চলার কথা বলেন। তারপরেই স্পিকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা।
