আজকাল ওয়েবডেস্ক: যে কোনও মশলাই রান্নায় আলাদা মাত্রা যোগ করে। কিন্তু অনেক সময়ে খেয়াল করে দেখবেন, পর্যাপ্ত মশলা দেওয়ার পরও রান্নায় তেমন স্বাদ আসে না। যার নেপথ্যে থাকতে পারে ভেজাল মশলার কারসাজি। তাছাড়া ভারতীয় রান্নায় ব্যবহৃত মশলা শুধু স্বাদই বাড়ায় না, অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে। তাই মশলা খাঁটি হওয়া জরুরি। বাজার থেকে কেনা মশলা ভেজাল কিনা কীভাবে বুঝবেন? রইল সহজ উপায়ের হদিশ-
হলুদ গুঁড়ো- হলুদে ভেজাল হিসেবে প্রায়ই রঙিন কৃত্রিম পদার্থ মেশানো হয়। পরীক্ষার জন্য সামান্য ভেজা হাতে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো নিয়ে ঘষতে থাকুন। যদি হাতের রং বেশি উজ্জ্বল হয় তাহলে হলুদ ভেজাল হতে পারে। একইসঙ্গে জলে হলুদ মেশালে যদি সঙ্গে সঙ্গে জলের রং বদলে যায় তাহলেও সেই হলুদ খাঁটি নাও হতে পারে।
লঙ্কার গুঁড়ো- আজকাল লঙ্কার গুঁড়োয় ইটের গুঁড়ো বা লাল রং মেশাতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে পরীক্ষা করতে এক গ্লাস জলে লঙ্কার গুঁড়ো মেশিয়ে নাড়তে থাকুন। যদি তৎক্ষণাৎ জলে লাল রং ছড়িয়ে পড়ে, তবে তা ভেজালযুক্ত। অন্যদিকে যদি লঙ্কার গুঁড়ো থিতিয়ে পড়ে জল স্বচ্ছ থাকে তাহলে সেটি খাঁটি হয়।
ধনে গুঁড়ো- অনেক সময়ে ধনে গুঁড়োতে কাঠের গুঁড়ো, রং কিংবা বিভিন্ন ধরনের ভেজাল জিনিস মেশাতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ ধনে গুঁড়ো নিয়ে হাতে ঘষতে থাকুন। যদি অদ্ভুত গন্ধ পান কিংবা রং পরিবর্তন হতে থাকে তাহলে সেটি ভেজাল হতে পারে।
জিরে গুঁড়ো- জিরে গুঁড়োতে কৃত্রিম চক পাউডার মেশানো হয়। যা চিহ্নিত করতে এক গ্লাস জলে খানিকটা জিরে ফেলুন। যদি কিছু অংশ জলে ভেসে থাকে বা জলের রং পরিবর্তন হয়, তবে বুঝবেন এতে ভেজাল আছে।
গোলমরিচ- গোলমরিচের মধ্যে অনেক সময়ে শুকনো পেঁপের বীজ মেশানো হয়। কেনার আগে এক টুকরো গোলমরিচ চেপে দেখে নেবেন। যদি সহজেই ভেঙে যায়, তবে তা ভেজালযুক্ত হতে পারে। এছাড়া এক গ্লাস জলে সামান্য গোলমরিচ দিন। গোলমরিচ খাঁটি হলে তা জলের নীচে ডুবে থাকবে। আর ভেজাল গোলমরিচ উপরে ভেসে উঠবে।
