আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাসি, কান্না, রাগ হল আবেগের বহি:প্রকাশ। কিন্তু কথায় কথায় রেগে গেলে মন তো বটেই, প্রভাব পড়ে শরীরেও। শিকেয় ওঠে কাজকর্ম, চিড় ধরে প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কেও। ব্যক্তি বিশেষে রাগ প্রকাশের ধরন আলাদা হয়। আসলে রাগী মানুষেরা অনেক সময়ে নিজেরাই তাদের রাগের বিষয়ে বুঝতে পারেন না। তাই প্রথমেই রেগে যাওয়ার কারণ জানা জরুরি। আর সেই মতো লক্ষণ বুঝে রাগ নিয়ন্ত্রণের কয়েকটি কৌশল মানলেই সহজে মাথা থাকবে ঠান্ডা।
রাগের কারণ কী
• জেনেটিক কারণে অনেকেই রাগী প্রকৃতির মানুষ হন। অর্থাৎ মা, বাবা কিংবা পরিবারের কারওর থেকে জেনেটিক্যালি রাগের স্বভাব আসতে পারে।
• মনস্তাত্ত্বিক কারণ অর্থাৎ ঘুম না হলে, খিদে পেলে কিংবা ক্লান্ত থাকলে রাগ হতে পারে।
• থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা, ব্লাড সুগারের কমা-বাড়া কিংবা মস্তিষ্কে ক্ষত ইত্যাদি ক্ষেত্রেও রাগের বহি:প্রকাশ হতে পারে।
• রোজকার কাজের চাপ থেকে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। অনেক দিন এমন পরিস্থিতিতে চলতে থাকলে কথায় কথায় রাগ-অভিমান হতে থাকে।
• অতিরিক্ত মদ্যপান করলে মানুষ নিজের হুঁশজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ফলে সেসময় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে অযথাই রাগ দেখাতে শুরু করেন অনেকে।
• বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো মানসিক সমস্যা থাকলেও হঠাৎ হঠাৎ মনের ভাব পাল্টে যায়। ফলে আনন্দের সময়েও মনে মনে রাগ হতে থাকে।
কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন
* কথায় কথায় বিরক্ত হচ্ছেন।
* মনে নেতিবাচক চিন্তা বেশি আসছে।
* যে কোনও কথায় অযথা চিৎকার চেঁচামেচি করছেন।
* রেগে গেলে বুক ধড়ফড়ের মতো শারীরিক সমস্যা বাড়ছে।
* সাধারণ তুচ্ছ কোনও ঘটনাতেও কারওর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিচ্ছেন।
রাগ বশে আনার কৌশল
* ভেবেচিন্তে কথা বলুন।
* কোনও সমস্যা দেখে বিরক্ত না হয়ে, সমাধান খুঁজুন।
* অতিরিক্ত রাগ হলে শ্বাসের ব্যায়াম করুন।
* উপরের উপায়গুলি কোনটা আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নিজেই বোঝার চেষ্টা করুন এবং সেটি মেনে চলুন।
* দীর্ঘদিন সমস্যায় ভুগলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
