নিজস্ব সংবাদদাতা: চার বছর প্রাক্তন প্রেমিক সায়ন্ত মোদককে নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছিলেন অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। তবে এবার তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগের পাশাপাশি আরও একাধিক অভিযোগ প্রকাশে আনলেন তিনি। কারণ ঠিক একই ঘটনা নাকি ঘটেছে সায়ন্তের অন্য প্রেমিকা কিরণ মজুমদারের সঙ্গে। অন্তত, সমাজমাধ্যমে কিরণের দাবি অনুযায়ী। তাই এরপর চুপ না থেকে সায়ন্তর মুখোশ ঘুরলেন দেবচন্দ্রিমা।
পাঁচ বছরের সম্পর্কের পর ইতি টানেন দেবচন্দ্রিমা ও সায়ন্ত। এরপর দু'জনেই নিজেদের মত জীবন গুছিয়ে নিলেও এত বছর পর ‘গোপন কথা’ প্রকাশ্যে এল। তাঁর গায়ে একাধিকবার হাত তুলেছিলেন সায়ন্ত মোদক, সরাসরি না বললেও সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন দেবচন্দ্রিমা। এবার ভিডিও আরও 'সত্যি কথা' সামনে আনলেন দেবচন্দ্রিমা। সায়ন্তের হাতে দিনের পর দিন তাঁর শারীরিক নির্যাতনের তোলার কথা স্পষ্ট করলেন অভিনেত্রী।
দেবচন্দ্রিমা জানান, অকথ্য ভাষায় তাঁর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তার চরিত্র নিয়েও অত্যন্ত নোংরা মন্তব্য করতেন সায়ন্ত। দেবচন্দ্রিমার গায়ে যে হাত তুলতেন সায়ন্ত, তার প্রমাণ আছে 'সাঁঝের বাতি' ধারাবাহিকের কয়েকটি পর্বে। এমনকী, দেবচন্দ্রিমার মা ও দিদিকেও দিনের পর দিন ভুল বুঝিয়েছিলেন সায়ন্ত। দেবচন্দ্রিমা জানান, এমনও দিন গিয়েছে স্টেজ-শো করে টাকা জোগাড় করেছিলেন তিনি, কারণ যাতে তাঁরা দু’জন মলদ্বীপে ঘুরতে যেতে পারেন! কারণ সায়ন্তর কাছে সেই সময় টাকা ছিল না। অথচ এই বিষয়ে সায়ন্ত দেবচন্দ্রিমার মা'কে জানান, স্টেজ শো নয়, অভিনেত্রী আদতে নোংরা কাজ করার কারণে বাড়ি ফিরতে পারছে না! পরে সেইসব কিছু জানতে পারেন দেবচন্দ্রিমা। অভিনেত্রী জানান, সায়ন্ত যে তাঁর পরিবারকে এসব কথা বলেছেন, সে প্রমাণও আছে তাঁর কাছে।
এরপর ঘুরতে যাওয়ার জন্য সায়ন্তকে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছিলেন দেবচন্দ্রিমা, সেই টাকা ফেরত না দিয়েই পালিয়ে যান সায়ন্ত! সেই টাকা দেওয়ারও প্রমাণ আছে তাঁর কাছে, এমনটাই জানিয়েছেন দেবচন্দ্রিমা। দু'জন মিলে ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করলেও সেই টাকা কখনই দেবচন্দ্রিমা বা কিরণ পাননি। তাই কিরণের টাকা থেকে কেনা কিছু জিনিস সায়ন্ত যদি ফেরত না দেন, তবে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন দেবচন্দ্রিমা।
অন্যদিকে, নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিয়ো বার্তায় ক্ষোভ কিরণ মজুমদার ক্ষোভ উগরে দেন সায়ন্তের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ একাধিক। তাঁকে নাকি আলাদা ভিডিয়ো করতে দিতেন না সায়ন। সঙ্গে মানসিক অত্যাচার তো ছিলই। পাশাপাশি, কিরণের টাকায় দামি জিনিস কিনতেন সায়ন্ত। তার পর আচমকাই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। অভিনেতার এমন আচরণে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন কিরণ।
