আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাজতে কে না চায়! অনেকেই কসমেটিক সার্জারি করেন নিজেকে সুন্দর করে তুলতে। এবার এক কাহিনি শুনলে হতবাক হতে হবে আপনাকে। স্থায়ীভাবে নাকি চোখের মণির রঙ পরিবর্তন করা যায়! এও সম্ভব! কিন্তু এমনটাই ঘটেছে বাস্তবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে এই ধরণের ঘটনা। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে তা।
কারও চোখের মণির রঙ হয় কালো, আবার কালো বাদামি আবার কালো নীল। অনেকেরই নিজের মণি পছন্দ হয় না। কিন্তু মন খুলে বলতে চান না অনেকেই। এবার সে সমস্যার সমাধান হয়ে গেল এই প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে। এই নিয়ে সে দেশের এক স্থায়ী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এক বিবৃতি। লস অ্যাঞ্জেলেসের ৫৭ বছর বয়সী এক চোখের ডাক্তার ডাঃ ব্রায়ান বক্সার এই ধরণের চিকিৎসা করছেন। তিনি ইতিমধ্যে বেশ নামডাক করে ফেলেছেন। এটি মূলত পরিচিত কসমেটিক সার্জারি হিসেবে। এর আগে স্তনের আয়তন বৃদ্ধি, ঠোঁট মোটা কিংবা সরু করা কিংবা নাকের গড়ন লম্বাটে করা নিয়ে কসমেটিক সার্জারি করা হয়েছে। বহুল চর্চাও করা হয়েছে তা নিয়ে।
কিন্তু মণির রঙ পরিবর্তন করা একেবারেই নতুন। মণি বা কর্ণিয়ার রঙ পরিবর্তন করার উপায় কী! জানা গিয়েছে, স্থায়ীভাবে রঙ পরিবর্তন করার জন্য রঙ্গক ইনজেকশন দিতে হবে। এটি হতে সময় লাগবে প্রায় মিনিট ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এইভাবে মণির রঙ বদলাতে খরচ কেমন জানেন? একেক চোখ পিছু ১০ লাখ টাকা। তবে এর ফলে চোখের কোনও ক্ষতি হতে পারে না! ডাক্তাররা আশ্বাস দিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়া করা হয় চোখকে অসাড় করে। ফলে চোখে কোনওরকম ব্যথা অনুভূত হয় না। এই পদ্ধতিটি ভীষণ নিরাপদ। কী কী রঙ করা যায়? জানা গিয়েছে, পান্না সবুজ, চির সবুজ, রিভেরা নীল কিংবা প্যারিস নীল রঙের মণিতে পরিবর্তন করে থাকেন অনেকে। তবে জলপাই সবুজের রঙ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মণি বদলানোর ক্ষেত্রে।
