আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাঁচ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার রাতে উত্তাল হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার অন্তর্গত রানীপুর গ্রাম। ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার সময় অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলে কয়েকজন যুবক। এরপর তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে -ধান কাটা এবং অন্য কিছু কাজ করার জন্য কয়েকজন যুবক গতকাল বীরভূম থেকে বড়ঞা থানার রানীপুর গ্রামে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের কাজ না হওয়ায় বিকেল নাগাদ একটি বাড়ির ছাদে বসে দুই বন্ধু গল্প করছিলেন। সেই সময়েই এক শ্রমিকের পাঁচ বছরের মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষিতা ওই নাবালিকার বাবার এক বন্ধু বলেন, 'গতকাল আমরা বীরভূম থেকে কাজ করতে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের কাজ না হওয়ায় বিকেল নাগাদ বন্ধুর সঙ্গে একটি বাড়ির ছাদে বসে গল্প করছিলাম। সেই সময় হঠাৎ দেখতে পাই এক যুবক আমার বন্ধুর বছর পাঁচেকের মেয়েকে কোলে করে তুলে নিয়ে কোথাও যাচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'ঘটনাটি দেখতে পেয়েই আমি বন্ধুকে জানাই এবং আমরা দু'জনেই দ্রুত ওই বাড়ির ছাদ থেকে নেমে এসে নাবালিকার খোঁজ শুরু করি। আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে আমরা জানতে পারি আমার বন্ধুর মেয়েকে পাশে একটি জঙ্গলের ধারে পরিত্যক্ত একটি বাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর সেই এলাকায় গিয়ে আমরা ওই যুবককে বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে 'অপকর্ম' করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলি।'
যুবককে ধরার পর স্থানীয় লোকজন তাকে ব্যাপক মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। রাতেই ওই নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় কান্দি মহকুমা হাসপাতাল এনে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে নাবালিকার অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক।
