আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড় পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের আদালতের। সব জেনে শুনে কেউ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালে এবং সেই সম্পর্কে সহবাসের পর, তিনি ধর্ষণের অভিযোগ তুলতে পারবেন না। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। বৃহস্পতিবার আদালতের এই বার্তার পর জোর চর্চা দেশে। ঠিক কী বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত? একটি মামলার শুনানি প্রসঙ্গে এই মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। আদালত এদিন জানায়, কেউ যদি জেনে শুনে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান এবং তাঁর সঙ্গে দীর্ঘকাল সম্পর্কে থাকার সময় সহবাসে লিপ্ত হন এবং তারপরে যদি অভিযোগ করেন, ওই সঙ্গী প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন, কিংবা ধর্ষণের অভিযোগ আনেন সঙ্গীর বিরুদ্ধে, তা গ্রাহ্য হবে না। কারণ, তিনি ওই সঙ্গী বিবাহিত জেনেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, সেক্ষেত্রে আচমকা সম্পর্কের অবনতি ঘটলে বা অন্য কোনও কারণে পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস বা ধর্ষণের অভিযোগ করতে পারেন না। দিনে দিনে এই অভিযোগের প্রবণতা বাড়ছে বলেও পর্যবেক্ষণ আদালতের ।
সাত বছরের পুরনো এক মামলার শুনানিতে এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন এবং বিচারপতি এ কোটিশ্বরের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে, এবং ওই এফআইআর খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। সাত বছর আগে বনিতা এস যাদব মুম্বইয়ে মহেশ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ছিল, বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহেশ সহবাস এবং ধর্ষণ করেছেন। মহেশ বনিতার সঙ্গে সম্পর্কের সময় বিবাহিত ছিলেন। বনিতা তা জেনেই সম্পর্কে জড়ান। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের পর ওই অভিযোগ করেন বনিতা। ২০১৭ সালে মহেশের বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়।
এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, বনিতা মহেশ বিবাহিত জেনে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন এবং দীর্ঘদিন সেই সম্পর্কে ছিলেন। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া সম্পর্কের পর, সঙ্গীর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে অভিযোগ দায়ের করেন।
