মিল্টন সেন, হুগলি: রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের হাত ধরে অস্তিত্ব ফিরে পেল হারিয়ে যেতে বসা চন্দননগর পুঁথিঘর। খুশির হওয়া বইপ্রেমী মহলে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় চন্দননগরে তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক পুস্তক বিপনী। চন্দননগর স্ট্র্যান্ড রোডে রবীন্দ্রভবন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত পুস্তক বিপনীর নাম দেওয়া হয়েছে চন্দননগর পুঁথিঘর। শুক্রবার বিকেলে পুঁথিঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। মন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের মহানাগরিক রাম চক্রবর্তী,  উপ মহানাগরিক মুন্না আগরওয়াল সহ পুরনিগমের সমস্ত কাউন্সিলররা এবং শহরের সমস্ত বইপ্রেমী মানুষেরা। এ দিন ফিতে কেটে পুস্তক বিপনির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।

 

 

তিনি জানিয়েছেন, এই পুঁথিঘর চন্দননগরের মানুষ অনেক বছর ধরেই দেখে আসছে। কোনও অজানা কারণে বেশ কিছু বছর এটা বন্ধ ছিল। গত ২০১৬ সালের পর চন্দননগরের মানুষ এই বিষয়টা জানিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাই। চন্দননগরের মানুষ বইপ্রেমী। পুঁথিঘরের সঙ্গে চন্দননগরের বইপ্রেমী মানুষের একটা ইমোশন জড়িয়ে রয়েছে। তাই এটা আবার নতুন করে করা হল। এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এখানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যে কয়টি একাডেমি রয়েছে, তাতে অনেক বহু মূল্যবান বই রয়েছে। যেগুলি সত্যিই সংরক্ষিত করে রাখার মতো। সেই সব বই এখানে রয়েছে এবং পরে আরও বই বাড়ানো হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল ডিসপ্লে করা হবে। এর ফলে মানুষের বুঝতে সুবিধে হবে কোন কোন বই এই বিপণিতে পাওয়া যাচ্ছে। চন্দননগরে একাধিক গৌরবের জিনিস রয়েছে। তাতে নতুন পালক হিসেবে সংযোজন হল এই পুঁথিঘর। পাশাপাশি মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, জেলায় সাব ডিভিশনে যেমন রবীন্দ্রভবন রয়েছে, আর্ট গ্যালারি রয়েছে। তেমন পুঁথিঘরও চালু করা হবে। উদ্বোধনের পাশাপাশি পুঁথিঘর থেকে বইও কেনেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। হারিয়ে যাওয়া পুঁথিঘরকে ফিরে পেয়ে খুশি চন্দননগরের বইপ্রেমী লোকজন।