তীর্থঙ্কর দাস: ওদের ঘর বলতে রাস্তা। জীবনযাপনের সব শুরু আর শেষ রাস্তার ধারের ফুটপাতেই। সিগনালে দাড়িয়ে ভিক্ষে করে পেট চালাতে হয় ওদের। সারাজীবন অন্ধকারেই কাটে। তবে ওদের শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন এক মহিলা। নিজের খরচায় ফুটপাতের শিশুদের শিক্ষা দিয়ে চলেছেন মিত্রবিন্দা ঘোষ। খুলেছেন পাঠশালা। ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় অসহায় শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া থেকে শুরু হয়েছিল এই যাত্রা। পরবর্তীতে পথ শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্বও নিয়ে ফেলেন নিজে। দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের একটি পার্কে চলে এই স্কুল। এই স্কুলেরই এক ছাত্রী আগামী বছর মাধ্যমিক দেওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করছে। ৩ টি শিশু নিয়ে শুরু হয়েছিল এই স্কুলটি। এখন এই পাঠশালায় পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০। নিয়মিত ক্লাস থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সব দায়িত্ব পালন করছেন মিত্রবিন্দা ঘোষ। প্রত্যেকটি শিশুকে স্কুলে ভর্তি করান তিনি। শারীরিক অসুস্থতা হলে তাঁরও দেখভাল করেন তিনি। মিত্রবিন্দার সঙ্গে এই সামাজিক কাজে এবার যোগ দিয়েছে কলেজ পড়ুয়ারা। নিজেদের ফাঁকা সময় এই পাঠশালায় ক্লাস করাতে আসেন তাঁরা। সদ্যোজাতর জন্মের পর থেকে ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত সব দায়িত্ব তাই এখন রামধনু ফাউন্ডেশনের। মিত্রবিন্দার ইচ্ছে ভবিষ্যতে নারীদের জন্য একটি হোম খোলার।