অরিন্দম মুখার্জি: বড় সাফল্য আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের। পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানার আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখার্জি তত্ত্বাবধানে আমেরিকার নাগরিকদের এন্টিভাইরাস সাইবার প্রতারণার চক্রে একাধিক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ঘটনা কী? আমেরিকার নাগরিকদের ল্যাপটপে অ্যান্টিভাইরাসের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বলে একটি অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের ফোন করে লাগাতার প্রতারণা করে চলছিল। কিন্তু একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর সাইবার থানা দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী থেকে ১৩ জনকে সাইবার প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার করে।
 
 আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের সাইবার থানা জানতে পারে এই সাইবার প্রতারণার এবং জালিয়াতির মাধ্যমে একটি বড় চক্রের যোগাযোগ আছে। 
 
 ইস্পাত নগরী দুর্গাপুরে বসে এই চক্রের একটি পরিকল্পিতভাবে এক ধরনের প্রতারণা এবং জালিয়াতি কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছিল।  আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং সাইবার থানার আধিকারিকরা ব্যাপারটা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছিল এবং তারই সূত্র ধরে এই জালিয়াতি কাণ্ডে একটি চক্রকে তারা তাদের ধরে আনে।
 
 
 বিশ্বস্ত সূত্র ধরে আসানসোল সাইবার থানা এবং ডিডি এবং গোয়েন্দা দপ্তরের সহযোগিতায় এবং সাহায্যের মাধ্যমে বিশাল এক সাইবার প্রতারণার হদিস পায়। খোঁজ চালায় এই ঘটনায় কে বা কারা যুক্ত। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, 'আমরা সব সময় জনসাধারণের সেবার জন্য সব সময় পাশে আছি এবং থাকবো এটাই পুলিশের চাকরির একটি ব্রত।'  বুধবার আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারের ডিসিপি আরবিন আনন্দ জানান, 'আমরা এই অ্যান্টিভাইরাস সাইবার প্রতারণার মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আসানসোল আদালতে পেশ করি। কিন্তু তার মধ্যে নির্দিষ্ট ছয় জনকে আমরা চিহ্নিত করে পুলিশ রিমান্ডে আনার জন্য মহামান্য বিচারককে আবেদন করি। পুলিশ এই আবেদন ভিত্তিতে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে এবং ছয় জনকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।'
 
 
 এই দিন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর সাইবার থানার আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখার্জি। 
 
 ডিসিপি অরবিন্দ আনন্দ জানান দুর্গাপুর শহরে বসে এই ধরনের সাইবার প্রতারণা এবং জালিয়াতি করছিল কিছু বড় সংখ্যক এর একটি দল। 
 
 আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনের হানা দিয়ে এই ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করার পর একটি সাইবার প্রতারণায় বড় সাফল্য আসে। 
 
 অভিযুক্তদের অনুসন্ধান করে জানা যায় তারা মূলত সেই সব লোকদের সঙ্গেই টানা প্রতারনা করে চলেছে,  যারা ব্যাপারটা হয়তো বুঝতে পারত না 
 
 সাইবার থানার পুলিশ অনুসন্ধানের মাধ্যমে যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল তাদের থেকে বারোটি ল্যাপটপ ১৩টি মোবাইল ফোন এবং পাঁচটি হেডফোন উদ্ধার করে।  এই উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের এবং সাইবার থানা জানতে পারে মূলত এই ১৩ জন কলকাতার বাসিন্দা । 
 
 
