আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আমাদের শরীর খুব স্মার্ট। যখনই খেয়াল করে ক্লান্তি আমাদের ঘিরে ধরেছে, তখনই হাই-এর মাধ্যম অনেকটা পরিমাণ অক্সিজেন মস্তিষ্কে গিয়ে পৌঁছয়। ফলে ক্লান্তি দূর হতে সময় লাগে না। দিনে বার কতক হাই তুললে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু বারে বারে যদি হাই উঠতে থাকে, তাহলে সাবধান হতে হবে বৈকি! কারণ অতি সাধারণ এই ঘটনার পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে বড় কোনও রোগের লক্ষণ। তাই সচেতন না হলেই বিপদ! 

অনিদ্রা- হাই ওটার সবচেয়ে বড় কারণ ঘুম না হওয়া। য়ারা দীর্ঘদিন অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন তাদের শরীরে ক্লান্তি কাটে না। আর তার ফলেই হাই উঠতে থাকে। ভাল করে ঘুমালে এই সমস্যা অনেকটাই কেটে যায়। 

ওষুধের প্রভাব- নির্দিষ্ট কোনও ওষুধের প্রভাবেও অতিরিক্ত হাই উঠতে পারে। কাশি কমানোর বা স্নায়ুর কোনও রোগের ওষুধ খেলে অনেকেরই সারাদিন আচ্ছন্ন ভাব থাকে। 

মস্তিষ্কে ক্লান্তি-মাথার অতিরিক্ত পরিশ্রম হলেও হাই ওঠা স্বাভাবিক। এ ছাড়াও পার্কিনসন্স বা স্কেলেরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অত্যধিক হাই উঠতে দেখা যায়।

শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে- কারও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলেও হাই উঠতে পারে। এই সমস্যা কাটাতে গরম চা বা কফি খাওয়া পারেন। তাতেই যদি সমস্যা কমে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণেই হাই উঠছিল।

উদ্বেগ-অত্যধিক মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মধ্যে থাকলেও অনেকের অতিরিক্ত হাই ওঠে। কোনও বিষয় নিয়ে মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হার্টের সমস্যা- শরীরে অক্সিজেনের জোগান অব্যহত রাখতে অনেক সময়েই অতিরিক্ত হাই উঠতে দেখা যায়। পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছলে হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই হার্টের সমস্যার অন্যান্য লক্ষণের পাশাপাশি যদি অতিরিক্ত হাই ওঠে তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।