শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Moumita Basak | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ২০ : ৪৪Moumita Basak
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৫ আগস্ট। ওইদিন দেশের স্বাধীনতা উদযাপন করবে আপামর ভারতবাসী। উত্তোলিত হবে জাতীয় পতাকা। ভারতের জাতীয় পতাকার এই বর্তমান নকশাটি গৃহীত হয় ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাইয়ের সাংবিধানিক সভায়। এই পর্যায়ের আসার আগে বহুবার পাল্টেছে জাতীয় পতাকার নকশা।
জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস বলছে, পরাধীন ভারতে প্রথম তৈরি হয়েছিল জাতীয় পতাকার চাহিদা। জানা যায়, ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকার প্রবর্তন হয়েছিল ১৮৮৩ সালে। সাদা পতাকার মাঝে ছিল লাল সূর্যের ছবি। এরপর ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রস্তাব পাশ হলে বাংলাভাগের বিরোধিতায় কলকাতায় উত্তোলিত হয় জাতীয় পতাকা।
এই পতাকার একদম ওপরে ছিল সবুজ তারপর হলুদ আর তারপর লাল। সবুজ রঙে ছিল আটটা অর্ধ ফোঁটা পদ্ম। হলুদে ছিল দেবনাগরী হরফে লেখা বন্দে মাতরম। যদিও এর আগে ১৯০৪ সালে ভগিনী নিবেদিতা জাতীয় পতাকার একটি নকশা তৈরি করেন। সেই নকশায় ছিল ইন্দ্রদেবের বজ্রের ছবি। পতাকার দু'পিঠে বাংলায় লেখা ছিল বন্দে মাতরম।
১৯০৭ সালে বার্লিনে ভারতের জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী হয়। এই পতাকায় ছিল তিনটি রং। এরপর ১৯১৬ সালে আরও একটা ভারতীয় পতাকার নকশা দেখতে পাওয়া যায়।
১৯২০ সালে জাতীয় পতাকার অভাব অনুভব করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। ওই বছরই গান্ধীজির কাছে জাতীয় পতাকার একটা নকশা প্রস্তাব করেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। সেই পতাকায় ভেঙ্কাইয়াকে সাদা রং ও চরকা অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন গান্ধীজি। চরকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় পতাকাটি তৈরি হয় খদ্দর কাপড়ের।
১৯৩১ সালে ফের জাতীয় পতাকার নকশা পাল্টান পি. ভেঙ্কাইয়া। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই স্বাধীন ভারতের একটি জাতীয় পতাকা তৈরি প্রস্তাব দেন পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু। প্রস্তাব হয় সেই পতাকায় ওপরে থাকবে গেরুয়া রং। মাঝে সাদা এবং তলায় গাঢ় সবুজ রঙ সমান পরিমাণে থাকবে। মাঝখানের সাদা রঙের মধ্যে থাকবে অশোকের ধর্মচক্র।
পি.ভেঙ্কাইয়া নির্মিত পতাকায় রংয়ের তাৎপর্য বজায় রেখে চরকার পরিবর্তে নিয়ে আসা হয় অশোকচক্র। স্বাধীন ভারতে প্রথমবার লালকেল্লায় এই পতাকাই উত্তোলন করেছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু।