আবু হায়াত বিশ্বাস, দিল্লি: বিজেপির সঙ্গে জোট করা ভুল হয়েছিল। জোটের ফলে দলের ক্ষতি হয়েছে। অবশেষে স্বীকার করলেন হরিয়ানার জননায়ক জনতা পার্টির প্রধান দুষ্মন্ত চৌটালা। তিনি দাবি করেছেন, জেজেপি আর কখনও বিজেপির সঙ্গে জোটে যাবেনা। হরিয়ানায় আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে। তার আগে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে জেজেপি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। বিজেপি -জেজেপি জোট সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দুষ্মন্ত। জোট ভেঙে যাওয়ার পর এখন বিজেপির সমালোচনায় সরব হয়েছেন তিনি। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর লোকসভা ভোটে এককভাবে লড়েছিল জেজেপি। আশানুরুপ ফল হয়নি। জেজেপি প্রধান এখন বলছেন, বিজেপির সঙ্গে জোট করে সরকার চালানোর বিষয়টি সাধারণ মানুষ ভালভাবে নেয়নি। জনগণের মনে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। কৃষক আন্দোলন এবং প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ার ফল ভুগতে হয়েছে জেজেপিকে। দুষ্মন্তের স্পষ্ট বক্তব্য, অদূর ভবিষ্যতে বিজেপির সঙ্গে জোটে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্লেখ্য, সাড়ে চার বছর জোট সরকার চালানোর পর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-জেজেপি জোট ভেঙে যায়। এর পিছনে মূল কারণ ছিল, আসন সমঝোতা না হওয়া।
হরিয়ানায় বিজেপি গত দশ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। ওই রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া প্রবল। সদ্য হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি খারাপ ফল আরও চিন্তা বাড়িয়েছে। পাঁচ বছর আগে রাজ্যের ১০ টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এবার ৫ টি হারিয়েছে। রাজ্যে কংগ্রেস নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে দুষ্মন্ত চৌটালার দল কংগ্রেসের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে জেজেপি নেতারা। ইতিমধ্যেই দুষ্মন্তের দল জানিয়েছে, হরিয়ানায় রাজ্যসভার নির্বাচনে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি, ক্রীড়াবিদদের মধ্যে থেকে কাউকে প্রার্থী করলে সমর্থন জানাতে প্রস্তুত আছেন। এদিকে, বুধবার দিল্লিতে কংগ্রেস সদর দপ্তরে হরিয়ানা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপালরা। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে স্পষ্ট করে বার্তা দেওয়া হয়েছে, বিধানসভা ভোটে কোনও গোষ্ঠীবাজি বরদাস্ত করা হবেনা। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে জেতানোর জন্য ঝাঁপাতে হবে। দলের নেতাদের উদ্দেশে নেতৃত্ব স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, একে-অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। হরিয়ানা কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক দীপক বাবারিয়া জানিয়েছেন, রাজ্যের ৪০ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেনে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাজ্যের দলের হাল-হকিকত নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা হয়েছে। লোকসভায় ভাল ফল হয়েছে। ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে ভোট শেয়ার। আমাদের লক্ষ্য ৭০ আসন। সেই লক্ষ্যেই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে।
হরিয়ানায় বিজেপি গত দশ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। ওই রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া প্রবল। সদ্য হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি খারাপ ফল আরও চিন্তা বাড়িয়েছে। পাঁচ বছর আগে রাজ্যের ১০ টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এবার ৫ টি হারিয়েছে। রাজ্যে কংগ্রেস নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে দুষ্মন্ত চৌটালার দল কংগ্রেসের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে জেজেপি নেতারা। ইতিমধ্যেই দুষ্মন্তের দল জানিয়েছে, হরিয়ানায় রাজ্যসভার নির্বাচনে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি, ক্রীড়াবিদদের মধ্যে থেকে কাউকে প্রার্থী করলে সমর্থন জানাতে প্রস্তুত আছেন। এদিকে, বুধবার দিল্লিতে কংগ্রেস সদর দপ্তরে হরিয়ানা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপালরা। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে স্পষ্ট করে বার্তা দেওয়া হয়েছে, বিধানসভা ভোটে কোনও গোষ্ঠীবাজি বরদাস্ত করা হবেনা। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে জেতানোর জন্য ঝাঁপাতে হবে। দলের নেতাদের উদ্দেশে নেতৃত্ব স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, একে-অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। হরিয়ানা কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক দীপক বাবারিয়া জানিয়েছেন, রাজ্যের ৪০ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেনে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাজ্যের দলের হাল-হকিকত নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা হয়েছে। লোকসভায় ভাল ফল হয়েছে। ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে ভোট শেয়ার। আমাদের লক্ষ্য ৭০ আসন। সেই লক্ষ্যেই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে।
