আজকাল ওয়েবডেস্ক: কিছুদিন আগেও ছিল বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। এখনও শীতের আগমন হয়নি কিন্তু তার আগেই হাজির শুষ্ক বাতাস। এই অবস্থায় পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যায় ভুগছেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। পার্লারে গিয়ে পেডিকিওর করার সময় সকলের থাকে না। তবে চিন্তা নেই, আপনার রান্নাঘরেই লুকিয়ে আছে এই সমস্যার সহজ সমাধান। রইল ফাটা গোড়ালি মসৃণ করার পাঁচটি অব্যর্থ ঘরোয়া টোটকা।
2
5
কলার জাদু: পাকা কলা কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, ত্বকের পরিচর্যাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। একটি পাকা কলা ভাল করে চটকে নিন। তারপর সেই কলার মণ্ড ফাটা গোড়ালিতে লাগিয়ে রাখুন অন্তত ২০ মিনিট। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন এ, বি৬ এবং সি ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে এবং আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে। ২০ মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে গোড়ালির ত্বক নরম ও মসৃণ হয়ে উঠবে।
3
5
ভেসলিন এবং লেবুর রসের মিশ্রণ: ত্বকের যত্নে ভেসলিন আমাদের সকলেরই পরিচিত বন্ধু। এই ভেসলিনের সঙ্গেই যদি মেশানো যায় কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, তবে তা ফাটা গোড়ালির জন্য মোক্ষম দাওয়াই হয়ে উঠতে পারে। প্রথমে উষ্ণ জলে পা পরিষ্কার করে ধুয়ে মুছে নিন। এরপর এক চামচ ভেসলিনের সঙ্গে একটি গোটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি গোড়ালিতে ভাল করে মালিশ করুন। রাতে ঘুমোনোর আগে এই টোটকা প্রয়োগ করে সুতির মোজা পরে নিলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। ভেসলিন আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং লেবুর রসে থাকা অ্যাসিড মরা চামড়া তুলতে সাহায্য করে।
4
5
মধু এবং উষ্ণ জল: মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ময়েশ্চারাইজিং গুণাবলী সর্বজনবিদিত। এক বালতি উষ্ণ গরম জলে এক কাপ মধু মিশিয়ে নিন। সেই জলে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর একটি নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে পা মুছে নিন। এই পদ্ধতিটি কেবল আপনার ফাটা গোড়ালিকে নরম করবে না, সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে আপনাকে আরামও দেবে।
5
5
নারকেল তেলের মালিশ: নারকেল তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উপাদান। বিশেষত শুষ্ক এবং ফাটা ত্বকের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বিশুদ্ধ নারকেল তেল সামান্য গরম করে নিয়ে ফাটা গোড়ালিতে ভালভাবে মালিশ করুন। এরপর একটি পাতলা সুতির মোজা পরে ঘুমিয়ে পড়ুন। নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামত করে এবং ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়। প্রতিদিনের ব্যবহারে আপনার গোড়ালি হয়ে উঠবে কোমল ও মসৃণ।