শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

MAMATA: বাংলা ভিক্ষা চাইবে না, আমি আপনাদের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার: মমতা

Sumit | ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৫ : ৪০


আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রথম দফার ভোট ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। এবার সকলের নজরে দ্বিতীয় দফা। সেখানে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাটের মত কেন্দ্র রয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল হবে দ্বিতীয় দফার ভোট। মুর্শিদাবাদের পর এবার মালদহে প্রচারে ঝড় তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। শনিবার গাজোলের মহাবিদ্যালয় মাঠে তিনি জনসভা করেন। মালদহ উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূণ ব্যানার্জির সমর্থনে তিনি বলেন, ‘প্রসূনকে ভোটটা দিয়ে দেখুন। ও এখানে আপনাদের জন্য পড়ে থাকবে। আপনাদের কথা বলবে। ওকে ভোট দিয়ে দেখুন। আমার আর এক প্রার্থী আছেন শাহনওয়াজ ভাই। ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নামী ছাত্র। সব ছেড়ে এখানে এসেছেন মালদহের মানুষকে ভালবেসে।
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা ওরা দেয়নি। আটকে রেখেছে। কিন্তু বাংলা ভিক্ষা চাইবে না। আমি আপনাদের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। যত বেশি সাংসদ আমরা নেব, তত বেশি দিল্লি থেকে কাজ করতে পারব। বাংলার প্রাপ্য আদায় করব। আমরা প্রকল্প চালু করেছি— কর্মশ্রী। এর মাধ্যমে জব কার্ড হোল্ডারদের ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে। কেউ চাইলে ৬০ দিনও করতে পারেন।  
প্রথম দফার ভোটের পর সকলকে ভোট দেওয়ার কথা ফের একবার শোনা গেল মমতার গলায়। তিনি বলেন,‘পরিযায়ী শ্রমিকেরাও ভোট দিয়ে যাবেন। যাতে দুষ্টুমি করে আপনাদের নাম বাদ দিতে না পারে। আমি কথা দিচ্ছি, সিএএ, এনআরসি এখানে করতে দেব না। এটা হলে সকলে পরিচয়, নাগরিকত্ব হারাবেন। মাছ, মাংস, ডিম খেতে বারণ করছে ওরা। কে কী খাবে নিজের ব্যাপার। কেন ধমকাবেন আপনারা?’
‘আয়ুষ্মান ভারত’ নিয়ে মমতা বলেন, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ করলে কেন্দ্র অর্ধেক টাকা দিত, বাকি আমাদের দিতে হত। পেত মাত্র ৫০ লাখ মানুষ। স্বাস্থ্যসাথীতে ১০ কোটি মানুষ পরিষেবা পান। কেন ‘আয়ুষ্মান ভারত’ করতে দেব বাংলায়?’
‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ নেই। আমি ওই জোট তৈরি করেছিলাম। কিন্তু এখানে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ভাই ভাই। এখানে ওদের কাউকে ভোট দেবেন না।’’
মালদহ দক্ষিণের সভা থেকেও এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মমতা বললেন, আপনারা ভয় পাবেন না, ইডি-সিবিআইকে নিয়ে ভয় পাবেন না। বিজেপি ভারতের ক্ষমতায় আসছে না।  এদিন ফের একবার বিজেপিকে জুমলাবাজ, কুৎসিত ভান্ডার বলে আক্রমণ করেন মমতা। ছন্দ মিলিয়ে বললেন, ‘বিজেপির মুখের ভাষা জঘন্য আর সিপিএম তো নগন্য। আর বাম-কংগ্রেস নিজেরা নিজেদের কাছেই বরেন্য। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।’







বিশেষ খবর

নানান খবর

Advertise with us

নানান খবর



রবিবার অনলাইন

সোশ্যাল মিডিয়া