আজকাল ওয়েবডেস্ক: যুজবেন্দ্র চহালের কবর কি কেউ পড়তে চান? খর্বকায়। রোগাটে গড়ন। তিনি ক্রিকেটের সুপারস্টার নন। সব সময়ে আড়ালেই থেকে যান। ইদানীং তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসার পরে সেনসেক্স বেড়েছে চহালের। তাঁর বান্ধবী আরজে মহাভাশের সঙ্গে সম্পর্ক জানাজানি হওয়ার পরে চহালকে নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে পাঠকদের মনে। 

কিন্তু শরীরের তিনটি অংশে মারাত্মক চোট নিয়েও যে চাহাল খেলেছেন, সে কথা কি কেউ জানেন? শরীরের তিনটি অংশে চিড় ধরেছিল চহালের। তবুও তিনি সরে যাননি লড়াই থেকে। দাঁতে দাঁত চেপে বোলিং করে গিয়েছেন। ১৩টি ইনিংসে বোলিং করে ১৬টি উইকেটের মালিক এই চহাল। দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। আঙুলের চোটের জন্য শেষের দিকে কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারেননি। 

চোট নিয়েই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার ২ খেলেছেন। ফাইনালেও খেলেন তিনি। চহালকে দেখে একবারের জন্য়ও কারও মনে হয়নি তিনি চোটআঘাতে জর্জরিত। চহালের বান্ধবী মহাভাশ ইনস্টাগ্রামে পাঞ্জাবের ক্রিকেটার সম্পর্কে লিখেছেন, ''ওরা লড়াই করে গিয়েছে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। বিশেষ পোস্ট যুজবেন্দ্র চহালের জন্য। মানুষ জানে না দ্বিতীয় ম্যাচে ওর পাঁজরের হাড়ে চিড় ধরেছিল। পরে আঙুলেও চিড় ধরে। এই লোকটা শরীরের তিনটি অংশে চিড় নিয়ে খেলেছে।'' 

চহালকে নিয়ে আরও লিখেছেন মহাভাশ। আর তাতেই ফুটে উঠেছে খর্বকায়, পেশিহীন এক ক্রিকেটারের সাহসের পরিচয়। প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর হৃদয়ের খাঁচা সিংহের মতো। ছেড়ে দেওয়ার বান্দা নন তিনি। মহাভাশ লিখেছেন, ''আমরা সবাই ওকে চিৎকার করতে, যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখেছি। কিন্তু হাল ছেড়ে দিতে দেখিনি কখনও। এই লোকটা আসলে যোদ্ধা। যোদ্ধার মতো লড়ে গিয়েছে। দলটাও শেষ বল পর্যন্ত লড়ে গিয়েছে। এরকম একটা দলের সমর্থক হওয়াও সম্মানের ব্যাপার। খুব ভাল খেলেছো তোমরা। তোমাদের সবার জন্য আমার হৃদয়ে জায়গা রয়েছে। পরের বছর দেখা হবে। আরসিবি-কেও অভিনন্দন জানাই। সবাই কঠিন পরিশ্রম করেছে। ক্রিকেট এবং আইপিএল আমাদের ভারতীয়দের কাছে এক উৎসব।'' 

ভাগ্যিস মহাভাশ প্রকাশ্যে আনলেন, নইলে কেউ জানতেই পারতেন না যন্ত্রণাকাতর চহালের কথা।