আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপ ফাইনালের পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যেই পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার ওয়াকার ইউনিস তীব্র সমালোচনা করলেন সাইম আয়ুবের। ৬টি ম্যাচে তিনি ২৩ রান করেন। আর সাইম আয়ুবের এহেন পারফরম্যান্সের পরে ওয়াকার মনে করেন, তাঁকে দলে নেওয়াই উচিত নয়।
৬টি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে খাতা না খুলেই ফিরে গিয়েছেন আয়ুব। শেষ ম্যাচ ফাইনাল। তাই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চান না ওয়াকার। তিনি বলছেন, ''দ্বিতীয়বার শূন্য করার পরই আমি বলেছিলাম। আয়ুবকে বেঞ্চে বসিয়ে দেওয়া দরকার। ও প্রচণ্ড প্রতিভাবান। পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যতও বটে। কিন্তু এখানে ওর শরীরী ভাষাই ঠিক লাগছে না।''
আরও পড়ুন: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের জয় জয়কার, পেনাল্টি শুট আউটে হারাল বাংলাদেশকে
রবিবাসরীয় রাতে অভিষেক শর্মা বনাম শাহিন আফ্রিদি ডুয়েল! এই দ্বৈরথ গড়ে দিতে পারে এশিয়া কাপের ফাইনালের ভাগ্য। এমনই ধারণা ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মরকেলের। দু'জনের সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। এর আগে পাকিস্তানের বোলিং পরামর্শদাতা ছিলেন মরকেল। সেখানে বাঁ হাতি পেসারকে কোচিং করিয়েছেন। তিনি মনে করছেন, অভিষেক এবং শাহিনের দ্বৈরথ দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। মরকেল বলেন, ''শাহিন আগ্রাসী বোলার। ও যেকোনও ব্যাটারকে সমস্যায় ফেলতে পারে। অভিষেকও অপেক্ষা করবে না। আমার মনে হয়, এই দু'জন সামনাসামনি হলেই লড়াই উপভোগ্য হয়। ক্রিকেটপ্রেমীরা এই দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষা করে। যা খেলার জন্য ভাল।''
দু'জনের বয়স ২৫। বেশ কয়েক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপটের সঙ্গে খেলছেন শাহিন। অন্যদিকে অনবদ্য স্ট্রোক প্লে দিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন অভিষেক। বিশেষ করে এশিয়া কাপে। ছয় ম্যাচের একটিতেও ব্যর্থ হননি। তারমধ্যে রয়েছে তিনটে অর্ধশতরান এবং তিনটে ৩০ এর বেশি রান। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটো ম্যাচে শাহিনকে বেধড়ক পেটান অভিষেক। প্রথম ম্যাচে ফুল টস বলে চার মেরে শুরু করেন অভিষেক। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান। টিম ইন্ডিয়ার বোলিং কোচ দুই তারকার দ্বৈরথের অপেক্ষায়। এই লড়াই উপভোগ করতে চান প্রাক্তন প্রোটিয়া পেসার।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচে অশান্তির রেশ ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরেও। দুই দেশের ক্রিকেটাররাই মেজাজ হারায়। বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করেন সাহিবজাদা ফারহান এবং হ্যারিস রউফ। ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে, শাহিন আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান অভিষেক শর্মা এবং শুভমন গিল। ওভারের শেষ বলে রউফকে ছয় মারার পরই মেজাজ হারান পাকিস্তানের পেসার। নন স্ট্রাইকারের দিকে ছিলেন অভিষেক। রউফকে শান্ত হতে বলেন তিনি। তাতেই আরও চটে যান পাক পেসার। সেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন গিলও। শেষমেষ আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ভাবা হচ্ছে, পরিস্থিতি শান্ত করতে রিঙ্কুকে পাঠান গৌতম গম্ভীর। এশিয়া কাপের ফাইনালে তেমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি চাইবে না কোনও দলই।
আরও পড়ুন: 'ভারতের দিনটা খারাপ যাক...', এমন প্রার্থনা শুরু করেছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ...
