আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাটার হিসেবে কোহলির আগামীর পথ কোন দিকে হওয়া উচিত এই বিষয়ে মতবিরোধের জেরেই কোহলি ও দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের সম্পর্ক ক্রমশ শীতল হয়ে উঠছে।
সূত্রের খবর, একদিকে রোহিত শর্মা যখন আগামী বিজয় হাজারে ট্রফির জন্য ইতিমধ্যেই বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়াকে (বিসিসিআই) নিজের উপলব্ধতার কথা জানিয়ে দিয়েছেন, সেখানে কোহলি এই ঘরোয়া একদিনের টুর্নামেন্ট খেলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
রোহিত মুম্বইয়ের হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে নামতে আগ্রহী, এমনকি ম্যাচ ফিটনেস ধরে রাখতে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে, কোহলির মতে অতিরিক্ত প্রস্তুতি তাঁর জন্য প্রয়োজন নয়। ফলে বিসিসিআইও বিপাকে পড়েছে। কারণ তারা কাউকে বিশেষ সুবিধা দিতে নারাজ, এমনকি সেই খেলোয়াড় বিরাট কোহলি হলেও।
এক সূত্র সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ‘সমস্যা হচ্ছে বিজয় হাজারে ট্রফি ঘিরে। কোহলি ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টে খেলতে চান না। রোহিত যখন খেলছে, তখন কীভাবে একজনের জন্য আলাদা নিয়ম করা যায়? আর বাকি খেলোয়াড়দের কী বলা হবে? যে কেউ আলাদা সুবিধা পাবে?’
বিসিসিআইয়ের নির্বাচক কমিটি ও কোচ গম্ভীর ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণের বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় দলের হতাশাজনক টেস্ট সিরিজের পর বোর্ডের নির্দেশেই রোহিত ও কোহলি দু’জনকেই রঞ্জি ট্রফিতে নামতে হয়েছিল।
রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে দুর্দান্ত শতরানের পর কোহলি ইঙ্গিত দেন যে তাঁর আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি দীর্ঘদিনের প্রস্তুতিতেই গড়ে উঠেছে এবং তিনি আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেটেই ফোকাস করতে চান।
কোহলি বলেন, ‘আমি কখনও অতিরিক্ত প্রস্তুতির পক্ষপাতী নই। আমার ক্রিকেট সবসময় মানসিক ছিল। আমি শারীরিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করি, ফিটনেস ঠিক থাকলেই যথেষ্ট। মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করলে আমার জন্য সেটাই ভালো।’
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে বিসিসিআই জাতীয় নির্বাচক প্রজ্ঞন ওঝাকে রায়পুরে পাঠিয়েছে। সেখানে বুধবার ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
