আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র দু'দিনে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রমাণ করল তারা সবকিছুই পারে। ইংল্যান্ডকে হারানোর নায়ক ট্র্যাভিস হেড আবার ইংরেজবাহিনীকে হারানোর পরে ক্ষমা চাইছেন।
কিন্তু কেন? হেডের দাপটে ইংল্যান্ড উড়ে যায়। তৃতীয় দিনের টিকিট যাঁরা কেটে রেখেছিলেন, তাঁরা হতাশ হলেন। সেই ৬০ হাজার দর্শকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন ট্র্যাভিস হেড। বললেন, ''আই ফিল সরি ফর দ্য সিক্সটি থাউজ্যান্ড হু ওয়্যার ডিউ টু কাম হিয়ার টুমরো।''
অ্যাশেজের ইতিহাসে দু' দিনের মধ্যে কেউ টেস্ট হারল, এ ঘটনা বিরল। ১০৪ বছর পরে ঘটল। ১৯২১ সালের মে মাসে নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়া দু' দিনে ম্যাচ জিতেছিল ১০ উইকেটে। এদিন অজিরা ৮ উইকেটে জিতে অ্যাশেজে এগিয়ে গেল।
টেস্ট ফরম্যাটে ব্যাটিং ওপেন করেন না হেড। তিনি উইকেটের পিছনে দাঁড়ান। কিন্তু উসমান খোয়াজা অস্বস্তিবোধ করায় হেডকে ওপেন করতে পাঠানো হয়। শুরুর দিকে হেডকে দেখে বোঝা যায়নি, তিনি একার হাতে শেষ করতে চলেছেন ইংল্যান্ডকে। তৈরি করতে চলেছেন নতুন এক ইতিহাস।
প্রথম ১৪ বলে হেড করেন তিন রান। ১৫ নম্বর ডেলিভারিতে মারেন বাইন্ডারি। ওই বাউন্ডারি পাওয়ার পর থেকেই হেড চলতে শুরু করেন নিজের চেনা ছন্দে। তাঁকে তখন থামায় কার সাধ্যি! ইংল্যান্ডের বোলাররা শর্ট বল করে গেলেন। আর মনের সুখে হেড সেগুলো মাঠের বাইরে পাঠালেন।
পঞ্চাশ করতে হেডের লাগে মাত্র ৩৬ বল। ৬৯ বলে সেঞ্চুরি করেন। ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের গিলবার্ট জেসফ ৭৬ বলে সেঞ্চুরি হঁকিয়েছিলেন। ১২৩ বছর ধরে সেই রেকর্ড অক্ষত ছিল। কিন্তু রেকর্ড গড়া হয় যে ভাঙার জন্যই।
হেডের ৬৯ বলে সেঞ্চুরিটি অ্যাশেজে দ্বিতীয় দ্রুততম। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ৫৭ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি করেন ২০০৬-০৭ মরশুমে। টেস্ট ইতিহাসে ওপেনারদের মধ্যে যুগ্মভাবে দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি। ২০১২ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ডেভিড ওয়ার্নার এরকমই সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ের পাতায় নাম তুলেছিলেন। হেডের এই ইনিংস ক্রিকেটপাগলদের মনে থেকে যাবে চিরকাল। এরকম ধরনের ইনিংস রোজ রোজ হয় না। কিন্তু যেদিন হয়, বিশ্ব কুর্নিশ জানায়।
