আজকাল ওয়েবডেস্ক: জায়গা পরিবর্তন হতে চলেছে ভিভিএস লক্ষ্মণ ও রাহুল দ্রাবিড়ের। রাজস্থান রয়্যালস একপ্রকার 'তাড়িয়ে'ই দিয়েছে দ্রাবিড়কে। তিনি ফিরে যাচ্ছেন ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। অন্যদিকে ভিভিএস লক্ষ্মণ ফিরতে চলেছেন আইপিএলে।
সূত্রের খবর, কথাবার্তা প্রায় পাকা। রাজস্থান রয়্যালসের চাকরি থেকে একপ্রকার বরখাস্ত হওয়া রাহুল দ্রাবিড় এসিএ-তে ফের দায়িত্বগ্রহণ করবেন।
দ্রাবিড়ের এনসিএ-তে ফেরার অর্থ হল ভারতীয় ক্রিকেটকে দীর্ঘদিন তিনি সেবা করতে পারবেন। পরবর্তী প্রজন্মের খেলোয়াড় তৈরি, ইনজুরি-ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করবেন দ্রাবিড়।
একটি সূত্র জানিয়েছে, এনসিএ-র দায়িত্বে এখন লক্ষ্মণ। আইপিএলে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। খুব সম্ভবত কোচিংয়ে পালাবদল হতে চলেছে। হচ্ছে জায়গাবদলও।
অতীতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে কাজ করেছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। তিনি ফেরার অর্থ একাধিক আইপিএল দল হায়দরাবাদিকে দলে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করবে।
তিনি এখন কোন দলে যাবেন, সেটা সময় বলবে।
রাজস্থান রয়্যালসের হেড কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। এক বছর যেতে না যেতেই। এবার কী হবে? প্রশ্ন সর্বত্র। কয়েক দিন আগে পর্যন্ত শোনা যাচ্ছিল, দলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন থাকতে চাইছেন না। সেই জল্পনার মাঝে আচমকা রাজস্থানের প্রধান কোচের পদ ছেড়ে দিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর বিদায় ঘিরে জলঘোলা হচ্ছে। এবি ডিভিলিয়ার্সের মতে, দ্রাবিড়কে তাড়িয়েই দিয়েছে রাজস্থান।
দ্রাবিড় রাজস্থানের কোচের পদ ছাড়ার পর দল জানিয়েছে, ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী কোচকে আরও বড় পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। দ্রাবিড় তাতে রাজি হননি। পাশাপাশি কোচের পদও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। দ্রাবিড়ের প্রস্থান ঘিরে রাজস্থানের এই দাবিতে অবাক হয়েছেন ডিভিলিয়ার্স।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দ্রাবিড়কে নিয়ে মুখ খুলেছেন ডিভিলিয়ার্স। তাঁর মতে, প্রিমিয়ার লিগে যে ভাবে কোচদের সরিয়ে দেওয়া হয়, সেটাই হয়তো হয়েছে দ্রাবিড়ের ক্ষেত্রে। আইপিএলে বিরাট কোহলির সতীর্থ বলেন, ''প্রিমিয়ার লিগে কোচ ও ম্যানেজাররা সব সময় চাপে থাকে। সাফল্য না দিতে পারলে মালিকের বকুনি শুনতে হয়। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে সেটা আমরা জানি না। তবে হয়তো দ্রাবিড়কে তাড়িয়েই দেওয়া হয়েছে। সেটা ঠিক নয়। হতে পারে পরের মরসুমে রাজস্থানের অন্য পরিকল্পনা রয়েছে। সেই কাজ শুরু করেছে তারা।''
ডিভিলিয়ার্সের মতে, দ্রাবিড়ের মতো এত বড় নাম সরিয়ে দিলে দলে একটা ফাঁক তৈরি হয়। তা ভরাট করা কঠিন। তিনি বলেন, "দেখে মনে হচ্ছে এটা মালিকের সিদ্ধান্ত। ওরা ওকে বড় কোনও পদের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু হয়তো দ্রাবিড় ডাগ আউটে থাকতে চেয়েছিল। তাই সেই প্রস্তাব নেয়নি। তবে দ্রাবিড়ের জুতোয় পা গলানো সহজ নয়। ও বড় নাম। আমি অনেক তরুণের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, ওদের কেরিয়ারে দ্রাবিড়ের কতটা ভূমিকা রয়েছে।''
আরও পড়ুন: গোড়ার দিকে ইংরেজি জানতেন না সবুজ তোতা, কীভাবে শিখলেন? শিক্ষিকা শোনালেন এক অন্য ব্যারেটোর গল্প
