আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাত পোহালেই আইপিএলের নিলাম। মঙ্গলবার আবু ধাবিতে বসবে মিনি নিলামের আসর। পার্স থেকে শুরু করে প্লেয়ার তালিকা সবকিছু ঠিক করে ফেলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ৭৭ স্লট পূর্ণ করতে হবে। সব ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে পার্সের মোট অর্থ ২৩৭.৫৫ কোটি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হাতে সবচেয়ে কম টাকা। তাঁদের হাতে মাত্র ২.৭৫ কোটি রয়েছে। অর্থাৎ, মূলত দর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে তাঁদের। খুব বেশি হলে বেস প্রাইজে কয়েকজন আনক্যাপড প্লেয়ারকে সই করাতে পারে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। নিলামের চালনা করবে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির পার্সে সবচেয়ে বেশি টাকা রয়েছে। 

কেকেআরের পার্সে রয়েছে ৬৪.৩০ কোটি। ভর্তি করতে হবে ১৩টি স্লট। দলের খোল-নলচে বদলে ফেলার চেষ্টা চলছে। সিএসকের কাছে ৪৩.৪০ কোটি আছে। অবশ্য ধোনির দল কোনও নাম তাড়া করার পক্ষপাতি নয়। তবে প্রিমিয়াম অলরাউন্ডারদের ক্ষেত্রে দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিই ঝাঁপাবে‌। বিশেষ করে পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তারমধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ক্যামেরুন গ্রিন। নজর থাকবে ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং জেসন হোল্ডারের দিকে। সবার বেস প্রাইজ ২ কোটি। নিলামের শুরুতে এই তিনজন ঝড় তুলতে পারে। আইপিএলে এখনও আহামরি কিছু করেননি গ্রিন। তবে অতীতের রেজাল্ট নয়, বর্তমান পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে নিলামের দর। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও সমান দক্ষ অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার। মনে করা হচ্ছে, মিচেল স্টার্কের ২৪.৭৫ কোটি ছাপিয়ে যেতে পারেন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, বিড ২৫ কোটির বেশি হলেও গ্রিনের বেতন ১৮ কোটিতে বেঁধে দেওয়া হবে। এটাই এবারের সর্বোচ্চ রিটেনশন স্ল্যাব। 

গ্রিন ছাড়াও লিয়াম লিভিংস্টোন, কুইন্টন ডি'ককের দিকে হাত বাড়াবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। দু'জনেই একার হাতে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে নিয়েও নিলামে আগ্রহ থাকবে। গতবছর ২৩.৭৫ কোটিতে তাঁকে কিনেছিল কেকেআর। সেই নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন ওঠে। তাঁর ফর্মও নিম্নমুখী হয়। মিনি নিলামে রাইট টু ম্যাচ কার্ড নেই। তাই খুব বেশি হলে এবার ১০ কোটি খরচ করা হতে পারে তাঁর পেছনে। বাকিদের মধ্যে মাথিশা পথিরানার জন্য ঝাঁপাতে পারে লখনউ সুপার জায়ান্টস। জেকব ডাফি আইপিএল নিলামের কালো ঘোড়া হতে পারে। পৃথ্বী শ এবং সরফরাজ খানও বিক্রির আশায় থাকবে। গতবার অবিক্রিত ছিলেন দু'জনেই।