আজকাল ওয়েবডেস্ক: সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে শেষ তিনটি ম্যাচে ১১টি উইকেট নেন মহম্মদ সামি। 

পুদুচেরির বিরুদ্ধে ৩৪ রানে তিন উইকেট নেন সামি। হরিয়ানার বিরুদ্ধে ৩৪ রানে ৪ উইকেট। সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ১৩ রানে ৪ উইকেট নেন। 

এত কিছুর পরেও জাতীয় দলে ডাক পাচ্ছেন না মহম্মদ সামি। 

ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ঘাম ঝরাচ্ছেন। উইকেট নিচ্ছেন। কিন্তু জাতীয় দলের দরজা খুলতে পারছেন না। 

নির্বাচকরা তাঁর কথা আর ভাবছেন না। একের পর এক সিরিজ চলে যাচ্ছে, নতুন টুর্নামেন্ট আসছে, বিশ্বকাপের দল বাছাই হবে সামনেই, কিন্তু সামির কথা ভাবছেনই না নির্বাচকরা। 

বাংলার পেসারকে কেন দলে নেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে সরব বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অজিত আগরকরের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই চলছে সামির।  
সামি প্রসঙ্গে মহারাজ বলছেন, ''আমি নিশ্চিত নির্বাচকরা দেখছেন ওর পারফরম্যান্স। সামি ও নির্বাচকদের মধ্যে নিশ্চয়ই কথাবার্তা হয়েছে। কী কথা হয়েছে, তা আমার জানা নেই। কিন্তু ফিটনেস, স্কিলের কথা যদি বিচার করা হয়, তাহলে বলব সামি এখনও বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ওকে বাদ দেওয়ার তো কোনও কারণ দেখছি না।''  ২০২৩ বিশ্বকাপে সামি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন।

এদিকে, হায়দরাবাদে নিজের রেস্তরাঁয় মহম্মদ সামিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। সেখানে ছিলেন বাংলার আরও দুই পেসার মুকেশ কুমার ও আকাশ দীপ।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দলে ছিলেন সিরাজ। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে তাঁকে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁকে সম্প্রতি ইডেনে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচ খেলতে দেখা গিয়েছিল। এটা ঘটনা সিরাজকে এখন শুধুই টেস্ট খেলানো হচ্ছে। দারুণ পারফর্ম করলেও ওয়ানডে বা টি–টোয়েন্টিতে খেলানো হচ্ছে না।

অন্যদিকে সামি ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ঘরোয়া ক্রিকেটে রঞ্জির পর টি–২০ ফরম্যাটেও প্রচুর উইকেট পাচ্ছেন তিনি। যদিও নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকার দাবি করেছেন, সামিকে নিয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। সেই বার্তার পাল্টা দিয়েছিলেন তারকা পেসারও। ঘরোয়া ক্রিকেটে সামির বোলিংও দেখে গিয়েছেন জাতীয় নির্বাচকরা। তবুও জাতীয় দলের দরজা খোলেনি সামির জন্য। প্রসিধ কৃষ্ণা–হর্ষিত রানারা খেলেই চলেছেন। আর সামি সুযোগ পাচ্ছেন না।