আজকাল ওয়েবডেস্ক: লর্ডস টেস্ট হেরে গিয়েছে ভারত। ২২ রানে। শুভমন গিল দুই ইনিংসেই রান পাননি। তবে হেডিংলি ও এজবাস্টনে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন গিল। আর লর্ডসে রান না পেতেও গিলের সমালোচনা শুরু হয়েছে। বলা ভাল অধিনায়ক গিলের সমালোচনা শুরু হয়েছে। তাঁর বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে তরুণ অধিনায়কের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
মূলত আগ্রাসী মনোভাবের জন্যই সমালোচিত হচ্ছেন গিল। যদিও সৌরভের দাবি, সময় দিলে ঠিক শিখে যাবেন গিল।
এটা ঘটনা, লর্ডস টেস্টের তৃতীয় এবং চতুর্থ দিন দু’দলের ক্রিকেটারদের বাদানুবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। ইংল্যান্ডের ইচ্ছাকৃত সময় নষ্ট এবং উইকেট নিয়ে মহম্মদ সিরাজের আগ্রাসন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। ইংরেজ ক্রিকেটারদের উদ্দেশে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন শুভমনও। গিলের এই আচরণই হারের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন অনেকে। যদিও সৌরভ তা মানতে রাজি নন। তাঁর কথায়, ‘শুভমন ঠিক নিজের মতো করে ব্যাপারটা সামলে নেবে। অধিনায়ক হিসাবে সব শিখে যাবে। কেউ তো আর পুরোদস্তুর অধিনায়ক হয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিতে নামে না। বার্মিংহামে কত ভাল নেতৃত্ব দিয়েছে। আরও ভাল দেবে। ওকে আর একটু সময় দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: কেউ ফিরেও তাকাল না! নিলামে অবিক্রিত থেকে গেলেন দ্রাবিড় পুত্র ...
শুভমনের ব্যাটিং বিদেশে তাঁর চোখে দেখা সেরা বলে বর্ণনা করেছেন সৌরভ। তাঁর কথায়, ‘ব্যাটার হিসাবে অসাধারণ খেলেছে। বিদেশের মাটিতে এই প্রথম ওকে এত ভাল খেলতে দেখলাম। প্রথমে হেডিংলেতে শতরান এবং বার্মিংহামে পর পর শতরান।’
প্রসঙ্গত, ৬০৭ রান করে শুভমন এই মুহূর্তে সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
এত ভাল খেলেও লর্ডসে হার মানতে পারছেন না অনেকেই। বাকিদের মতো লর্ডসের হারের পর হতাশ সৌরভও। তিনি মনে করেন, ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল ভারতের। বলেছেন, ‘যেভাবে ভারত এই সিরিজে ব্যাট করেছে তাতে অনায়াসে ১৯০ তাড়া করে জিততে পারত। দলের ব্যাটিং গভীরতা অসামান্য। আমি নিশ্চিত ওরা আমার থেকেও বেশি হতাশ। ২–১ এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল। দুটো জুটি হলেও ম্যাচটা জিততে পারতাম। ব্যাটিং কাকে বলে সেটা জাদেজা, বুমরা এবং সিরাজ দেখিয়ে দিয়েছে। বাকিরাও যদি ওদের মতো খেলতে পারত তা হলে ভারত ম্যাচটা জিতত।’
এদিকে এদিকে লর্ডস টেস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন সিরাজ। লিখেছেন, ‘কিছু কিছু ম্যাচ সারা জীবন মনে থাকে। ফলাফলের জন্য নয়, আপনি সেই ম্যাচ থেকে কী শিক্ষা পেলেন তার জন্য।’ সিরাজ এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে লর্ডস টেস্ট থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। আর সেটাই ফুটে উঠেছে তাঁর লেখায়।
প্রসঙ্গত, লর্ডস টেস্টে যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্স করেছেন সিরাজ। প্রথম ইনিংসে জেমি স্মিথ এবং ব্রাইডন কার্সের মতো দুই অর্ধশতরানকারীর উইকেট নেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বেন ডাকেট এবং অলি পোপকে ফেরান। সব সময় পরিশ্রম করার জন্য তৈরি ছিলেন। লর্ডস ম্যাচের পর সিরাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন নাসের হুসেনও।
