আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের অনুষ্ঠানের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন স্মৃতি মান্ধানার বাবা। তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন স্মৃতির হবু স্বামী পলাশ মুচ্ছল। এই পরিস্থিতিতে বিয়ে সংক্রান্ত সমস্ত পোস্ট মুছে ফেললেন স্মৃতি।

স্মৃতি মান্ধানার সামাজিক মাধ্যমে আচমকা এই বড় পরিবর্তন নজর কেড়েছে ভক্তদের। নিজের বিয়ে ও এনগেজমেন্ট সংক্রান্ত সমস্ত পোস্ট ইনস্টাগ্রাম থেকে মুছে ফেলেছেন তিনি।

এই ঘটনায় ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে ক্রিকেটমহলে ও সামাজিক মাধ্যমে। জানা গিয়েছে, এই সময় স্মৃতির জন্য মানসিকভাবে সময়টা খুব সহজ নয়।

তাঁর বাবা শ্রীনিবাস মান্ধানা এবং সঙ্গীত পরিচালক পলাশ মুচ্ছল দু’জনেই শারীরিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যদিও পলাশকে পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ বিয়ে-সংক্রান্ত সমস্ত পোস্ট উধাও হয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে জোরদার জল্পনা শুরু হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে যে সমস্ত বিয়ে, এনগেজমেন্ট ও প্রপোজাল ভিডিওর মতো পোস্ট কয়েকদিন আগেও ছিল—সবই এখন অদৃশ্য।

ভক্তরা লক্ষ্য করেছেন, স্মৃতির বিয়ের রিল, ঘোষণা, প্রপোজাল ভিডিও—কিছুই আর প্রোফাইলে নেই। তবে পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে আগের ছবিগুলি এখনও রয়ে গেছে। চমকের এখানেই শেষ নয়।

একা স্মৃতি নন, তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সতীর্থ জেমিমা রদ্রিগেজ ও শ্রেয়াঙ্কা পাটিলও তাঁদের প্রোফাইল থেকে বিয়ের ঘোষণা ভিডিও মুছে দিয়েছেন। ফলে জল্পনা আরও বেড়েছে যে ঠিক কী ঘটেছে বহু প্রতীক্ষিত বিয়ের অনুষ্ঠানে।

এখনও গোটা বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটার নিজে কিছু বলেননি। শোনা যাচ্ছে, বাবার পর এবার হাসপাতালে স্মৃতির হবু স্বামী পলাশও। জানা গিয়েছে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সুরকার পাত্র পলাশ মুচ্ছলকে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাইরাল ইনফেকশন এবং অ্যাসিডিটির কারণে হাসপাতাল যেতে হয়েছিল তাঁকে। তবে সমস্যাটি গুরুতর নয়। চিকিৎসার পর পলাশকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে হোটেলে ফিরেছেন পলাশ। স্মৃতির বাবা শ্রীনিবাস মান্ধানা আকস্মিক ভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মেয়ের বিয়ের দিন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। রূপকথার বিয়ে পিছিয়ে যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য।

এদিকে, স্মৃতিদের পারিবারিক চিকিৎসক নমন শাহ জানিয়েছেন, শ্রীনিবাস মান্ধানার চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। সব ঠিক থাকলে সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে স্মৃতির বাবাকে।

একদিন আগেই স্মৃতি মান্ধানার ম্যানেজার তুহিন মিশ্র জানিয়েছিলেন, ‘প্রাতঃরাশ সারার সময়ে স্মৃতির বাবার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি।

ভেবেছিলাম তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় আমরা তৎক্ষণাৎ অ্যাম্বুল্যান্স ডাকি। ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখন পর্যবেক্ষণে রয়েছেন স্মৃতির বাবা।’