আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপের দলে শ্রেয়স আইয়ারকে রাখেননি জাতীয় দলের নির্বাচকরা। গোটা দেশ বিস্মিত এই সিদ্ধান্তে। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন এশিয়া কাপে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটবে শ্রেয়সের। কিন্তু দল ঘোষণার পরে জানা গেল শ্রেয়সকে দলে রাখেননি নির্বাচকরা।
দেশের প্রাক্তন ওপেনার আকাশ চোপড়াও অবাক। তিনি বলেছেন, ''চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে শ্রেয়স। কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যান ওর আশপাশে ছিল না। বিপক্ষের সাজঘরে আক্রমণ পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল শ্রেয়সের উপরে। যখন খুশি বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরেছে শ্রেয়স। ওর মারমুখী ব্যাটিংয়ের জন্য প্রতিপক্ষের উপর থেকে চাপ কমে গিয়েছিল।''
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ থেকে কেন বাদ শ্রেয়স? বোধগম্য নয় গম্ভীরের প্রাক্তন ডেপুটির
এর পরে আইপিএলেও শ্রেয়স আইয়ার উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করেন। সেই প্রসঙ্গে আকাশ চোপড়া বলেন, ''আইপিএলে মারাত্মক চাপ ছিল। এবারের আইপিএলে অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স তুলে ধরেছিল শ্রেয়স। আইপিএলের পারফরম্যান্সের উপরে নির্ভর করে জাতীয় দলে সুযোগ পায় সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার। বরুণ চক্রবর্তী, রিঙ্কু সিং, হর্ষিত রানা, অভিষেক শর্মাদের ক্ষেত্রে এমনটাই দেখেছি। সেই নিরিখে বলতে পারি শ্রেয়সকে দলে নেওয়াই যেত।''

দল নির্বাচন যে কী ভাবে হয়, তা কেউ জানেন না। কেউ আইপিএলের পারফরম্যান্স ভাঙিয়ে দলে ঢুকে পড়েন। আবার কেই কোটিপতি লিগে ভাল খেলেও জাতীয় দলের দরজা খুলতে পারেন না। শ্রেয়স এি দলে পড়েন।
শ্রেয়সকে নিয়ে ভক্তরা পর্যন্ত আলোড়ন তৈরি করে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক ভক্ত লিখেছেন, ''ওয়ানডের আসল চরিত্র শ্রেয়স। কোহলি পরবর্তী সময়ে শ্রেয়সই কোহলি। কোহলি চলে যাওয়ায় যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে, তা ভরাট করতে পারবে শ্রেয়স।''
এভাবেও প্রশংসিত হচ্ছেন শ্রেয়স। দল থেকে বাদ পড়েও তিনি দেখছেন তাঁর পাশেই রয়েছেন ভক্তরা। এ তো একপ্রকার হেরে গিয়ে জিতে যাওয়া।
শ্রেয়স আইয়ার দীর্ঘদিন জাতীয় দল থেকে বাদ। এশিয়া কাপেও তিনি বাদই পড়লেন। দল থেকে বাদ পড়লেও শ্রেয়স আইয়ার কিন্তু ভক্তদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু কবে যে তিনি জাতীয় দলে ডাক পাবেন তা ঈশ্বরও বোধহয় জানেন না। তবে এই অসময়ে শ্রেয়সকে ধৈর্য ধরতে বলছেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান। তাঁর মতে, শ্রেয়স শুধুমাত্র দলের একজন খেলোয়াড় নন, তিনি লিডারশিপ গ্রুপেও রয়েছেন।
এশিয়া কাপের ঘোষিত দল-সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমান গিল (সহ-অধিনায়ক) সঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, রিঙ্কু সিং, হার্দিক পাণ্ডিয়া, জিতেশ শর্মা, জশপ্রীত বুমরাহ, অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা, কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: ডার্বি জয়ের অভিজ্ঞতা স্বপ্নের মতো, ফাইনাল খেলা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিপিন...
