আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপের দলে তিনি সুযোগ পাননি। এদিকে, টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ গৌতম গম্ভীর বলে দিয়েছেন, সুযোগ পেলেই ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ খেলতে হবে সকলকে। বিশ্রামের কোনও জায়গা নেই। কোচের ফতোয়া কার্যকর করতে তৎপর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও। কিন্তু কারোরই নাম না করে ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন চালু হওয়া এই প্রথার সমালোচনা করলেন শার্দূল ঠাকুর।
 
 দলীপ ট্রফি দিয়ে শুরু হয়েছে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুম। বোর্ডের নির্দেশে ভারতের প্রথম সারির একাধিক ক্রিকেটারকে অংশ নিতে হয়েছে সেই টুর্নামেন্টে। শার্দূলের অভিযোগ, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার জন্য বার বার নির্দেশ দিলেও বোর্ড খেয়াল রাখে না তাঁর ক্রিকেটারদেরই। কার্যত বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন তিনি।
 
 দলীপে পশ্চিমাঞ্চলের নেতা শার্দূল। তাঁর মতে, ক্রিকেটারদের শারীরিক অবস্থাকে খুবই হালকা ভাবে নেওয়া হয়। আধুনিক ক্রিকেটে সারা বছর খেলে যেতে হলে শরীরের খেয়াল রাখা যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি।
 
 দলীপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর শার্দূল বলেছেন, ‘অনেক সময়েই ক্রিকেটারদের শারীরিক অবস্থাকে হালকা ভাবে নেওয়া হয়। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টও সর্বোচ্চ মানের নয়। কেউ এসে আমাদের এক বারের জন্যও জিজ্ঞেস করে না, আমাদের শরীরের অবস্থা কীরকম। আমি চেষ্টা করি নিজেকে প্রতিনিয়ত ফিট রাখতে। ফিজিও এবং স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করি।’ 
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে ধারাভাষ্য দেবেন কারা? প্রকাশ্যে এল তালিকা?
 
 শার্দূলের সংযোজন, ‘আমি বলছি না যে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য একের পর এক ম্যাচ থেকে নাম তুলে নেব। কিন্তু মাঝে মধ্যে বিশ্রাম পেলে সেটা শরীরের জন্যই ভাল।’ উল্লেখ্য, শার্দূল ছাড়াও প্রথম সারির ক্রিকেটারদের মধ্যে যশস্বী জয়সওয়াল, ধ্রুব জুরেল, শ্রেয়স আয়াররা দলীপে খেলেছেন।
 
 এটা ঘটনা, শার্দূল টানা ক্রিকেট খেলে চলেছেন। ইংল্যান্ড সিরিজে খেলেছেন। তার আগে আইপিএলে খেলেছেন। তারও আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় প্রতিটি প্রতিযোগিতায় খেলেছেন। তাঁর মতে, ওয়ার্কলোডের বিষয়ে ক্রিকেটারদেরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।
 
 তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচ খেলতে নামলে ওয়ার্কলোডের কথা মাথায় রাখলে চলে না। নিজের সেরাটা দেওয়াই তখন মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। নিজের মধ্যে যা আছে তার সবটা উজাড় করে দিই আমরা। ম্যাচের পর বাড়ি ফিরে গেলে এবং দুটো ম্যাচের মাঝে যথেষ্ট ব্যবধান থাকলে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার সময় পাওয়া যায়।’ 
এদিকে, এশিয়া কাপে আম্পায়ারদের প্যানেল প্রকাশ্যে এসেছে। এবার এল ধারাভাষ্যকারদের নাম। সুনীল গাভাসকার, রবি শাস্ত্রী–সহ ভারতের বেশ কয়েক জন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে দেখা যাবে ধারাভাষ্যকার হিসাবে। থাকবেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন দুই সহকারী কোচ ভরত অরুণ এবং অভিষেক নায়ারও।
 
 এটা ঘটনা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাভাষ্যকার হিসাবে নিয়মিত দেখা যায় সুনীল গাভাসকার এবং রবি শাস্ত্রীকে। এ বারের এশিয়া কাপে এমন কয়েক জনকে দেখা যাবে, যাঁরা নিয়মিত খেলার ধারাভাষ্য করেন না। এশিয়া কাপে ইংরেজি ভাষায় ধারাভাষ্যকার হিসাবে গাভাসকার, শাস্ত্রী ছাড়াও থাকছেন সঞ্জয় মঞ্জরেকার, রবীন উথাপ্পা, ওয়াসিম আক্রাম, ওয়াকার ইউনিস, বাজিদ খান, রাসেল আর্নল্ড এবং সাইমন ডুল।
