আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং শার্দূল ঠাকুরের জোড়া উইকেটে ম্যাচে ফিরল ভারত। প্রথমে দুই ওভারের ব্যবধানে জ্যাক ক্রলি এবং অলি পোপকে আউট করেন প্রসিদ্ধ। তারপর একই ওভারে ব্যাক টু ব্যাক বলে বেন ডাকেট এবং হ্যারি ব্রুকের উইকেট তুলে নেন শার্দূল। ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পান ভারতীয় অলরাউন্ডার। ডাকেট আউট হওয়ার পর আচমকাই ম্যাচটা কিছুটা কঠিন হয়ে যায় ইংল্যান্ডের জন্য। এখনই ম্যাচে ফেরার সুযোগ ভারতের। একই ওভারে জোড়া উইকেট হারানোয় কিছুটা কম্পন ধরেছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে। একেবারেই স্বচ্ছন্দে নেই বেন স্টোকাস। আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট। ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছে জো রুটের ওপর। 

ডাকেট ক্রিজে থাকাকালীন মনে হয়েছিল, অনায়াসে টেস্ট জিতবে ইংল্যান্ড। কিন্তু ১৪৯ রান করে ইংল্যান্ডের ওপেনার আউট হওয়ার পর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে থ্রি লায়ন্সদের। লিডসে হওয়া বইছে। আচমকাই উইকেট থেকে সাহায্য পাচ্ছে পেসাররা। হালকা সুইং হচ্ছে। অসমান বাউন্সও আছে। যা ডাকেট থাকাকালীন বোঝা যায়নি। এতটাই দাপটের সঙ্গে খেলছিলেন। রিভার্স সুইপে ছয় অনবদ্য। মাস্টারক্লাস। তবে এই হালের জন্য দায়ী ভারতের ফিল্ডিং। প্রথম ইনিংসের পুনরাবৃত্তি দ্বিতীয় ইনিংসেও। ডাকেট ৯৭ রানে ব্যাট করার সময় মহম্মদ সিরাজের বলে তাঁর ক্যাচ ফস্কান যশস্বী জয়েসওয়াল। ইংল্যান্ডের ওপেনার তখন আউট হয়ে গেলে আরও সুবিধাজনক জায়গায় থাকতে পারত ভারত। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে দাপট ছিল ব্রিটিশদের। বিনা উইকেটে ৯৬ রান যোগ করে ইংল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে চার উইকেট তুলে ম্যাচে ফেরে টিম ইন্ডিয়া। ৬৫ রান করে আউট হন ক্রলি। ১৭০ বলে ১৪৯ রানে ফেরেন ডাকেট। বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের রান ২৬৯। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১০২ রান। ভারতের দরকার ৬ উইকেট। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, চায়ের বিরতি হতে ১০ মিনিট বাকি ছিল। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এখনই চায়ের বিরতি ঘোষণা করে আম্পায়াররা।