আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সবার নীচে সান মারিনোর অবস্থান। গত ২০ বছরে এই দেশ জিতেছে মোটে ২টি ম্যাচ। সেই দুটো ম্যাচে জয় এসেছে লিখটেনস্টাইনের বিরুদ্ধে। উয়েফা নেশনস লিগের ওই দু'টি জয় সান মারিনোর সামনে খুলে দিতে পারে ২০২৬ বিশ্বকাপের দরজা। আর সেরকম হলে অবাক করার মতো ঘটনাই হবে। বিদঘুটে নিয়মে বিশ্বকাপ খেলে ফেলবে সান মারিনো। যার জনসংখ্যা মাত্র ৩৪ হাজার।
উয়েফার নিয়মের জন্যই বিশ্বকাপের সম্ভাবনা টিকে রয়েছে সান মারিনোর। সাতটি ম্যাচের সব ক'টিতেই হার মেনেছে তারা। গোল করেছে মাত্র একটি। গোল হজম করতে হয়েছে ৩২টি। এই যাদের অবস্থা, তারাই এখন বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট জোগাড় করতে পারে।
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসির নতুন রেকর্ড, বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে অনন্য নজির ...
সান মারিনোর কথা শুনে বিস্ময় জাগছে। তেমনই পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলের ছোট দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্দেও একই ভাবে বিস্ময় জাগিয়ে রচনা করেছে ইতিহাস। কেপ ভার্দে তাদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করল ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপে। প্রায় পাঁচ লক্ষ জনসংখ্যার এই ছোট্ট দেশটি প্রথমবারের মতো আসন্ন ফিফা বিশ্বকাপের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করেছে। এটা শুনলেই বিস্মিত হবেন অনেকে।
শুক্রবার রাতে প্রাইয়ার ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ক্যাফ কোয়ালিফায়ারসের শেষ গ্রুপ ম্যাচে তারা এসওয়াতিনিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এই ঐতিহাসিক সাফল্য নিশ্চিত করে। ‘ব্লু শার্কস’ নামে পরিচিত কেপ ভার্দে গ্রুপ ডি-এর শীর্ষে থেকে কোয়ালিফায়ার শেষ করে। এই গ্রুপে তাদের সঙ্গে ছিল শক্তিশালী ক্যামেরুন। স্বল্প জনসংখ্যার দেশ বিশ্বকাপের মূলপর্বে পৌঁছে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। সান মারিনোও সেরকমই অবাক করবে যদি বিশ্বকাপের টিকিট জোগাড় করে।
সান মারিনো এখনও পর্যন্ত ২১৯টি ম্যাচ খেলেছে। জিতেছে মাত্র তিনটিতে। এর মধ্যে শেষ ২০ বছরে এসেছে ২টি জয়। সান মারিনোর তিন জয়ের সবকটিই এসেছে প্রতিবেশী লিখটেনস্টাইনের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া নেশনস লিগে সান মারিনো গত বছর লিখটেনস্টাইনকে দু'বার হারায় এবং জিব্রাল্টরের সঙ্গে ড্র করে নিজেদের ‘ডি’ গ্রুপে শীর্ষে ওঠে।
এই নেশনস লিগের ফলাফলই ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রভাব ফেলে। কারণ, প্রতিটি গ্রুপের দ্বিতীয় হওয়া ১২ দলের সঙ্গে নেশনস লিগের সেরা চারটি দল খেলবে বিশ্বকাপের প্লে-অফে। সেখান থেকে চারটি দল যাবে মূলপর্বে।
এই তালিকায় সান মারিনোর নামও আছে। ২০২৪-২৫ মরশুমের নেশনস লিগের ১৪টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের মধ্যে সান মারিনোর পজিশন সবার নীচে। এখন পর্যন্ত রোমানিয়া, সুইডেন, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র নিজেদের গ্রুপে ভাল অবস্থানে থাকায় সান মারিনোর আশা টিকে রয়েছে।
রোমানিয়া ও সান মারিনো একই গ্রুপে। রোমানিয়া যদি শেষ দু'ম্যাচ জিতে শীর্ষ দুইয়ে উঠে আসে, তাহলে নেশনস লিগের নিয়ম অনুযায়ী সান মারিনো প্লে-অফে জায়গা পেয়ে যাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সান মারিনোর স্বার্থে রোমানিয়ার কাছে হারলেও লাভ হবে। অন্তত সান মারিনোকে ৭ গোলে হারতে হবে।
সান মারিনো বাছাই পর্বে সাত ম্যাচে হার মেনেছে। তবে এখনও তাদের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন টিকে আছে।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে ব্যর্থ দলই ঘুরে দাঁড়াল টেস্টে, চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে দিল পাকিস্তান
