আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন কুস্তিগিররা। রাজধানীর রাজপথে তাঁরা নিগৃহীতও হয়েছিলেন। সেই ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন সাক্ষী মালিক। এবার তাঁর প্রকাশিত আত্মজীবনী 'উইটনেস'-এ সাক্ষী নিজের জীবনের অনেক অকথিত প্রসঙ্গের উত্থাপ্পন করেছেন। সেখানে একাধিক বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। কখনও ব্রিজভূষণ, কখনও তাঁর শিক্ষক-- খুল্লমখুল্লা প্রকাশ করেছেন সাক্ষী।
বিদেশের হোটেলে যৌন হেনস্থা করেছিলেন ব্রিজভূষণ। এমনই অভিযোগ আত্মজীবনীতে এনেছেন সাক্ষী। তিনি তুলে ধরেছেন ২০১২ সালের এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপের প্রসঙ্গ। তখন সাক্ষীর বয়স কুড়ি।
সেবার আলমাটিতে বসেছিল এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ। একদিন মা-বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলার জন্য ব্রিজ ভূষণের হোটেলে গিয়েছিলেন সাক্ষী। সেখানেই ব্রিজভূষণ তাঁর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ সাক্ষীর।
সাক্ষী লিখেছেন, ''আমার মা-বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলার জন্য ব্রিজভূষণের হোটেলে গিয়েছিলাম। ওর বিছানায় বসে কথা বলছিলাম। ব্রিজভূষণ নিজেই যোগাযোগ করে দিয়েছিল ফোনে। সব ঠিকঠাকই লাগছিল। খারাপ কিছু ঘটতে পারে, এমন কিছু আশঙ্কাও করিনি। আমি যখন মা-বাবার সঙ্গে পদক এবং ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করছিলাম, তখনও বুঝতে পারিনি কী হতে চলেছে। মা-বাবার সঙ্গে কথা শেষ হওয়ার পরই শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে ব্রিজভূষণ। আমি ধাক্কা দিয়ে সরে যাই। কাঁদতে শুরু করে দিই।''
সাক্ষী প্রতিবাদ করায় ব্রিজভূষণ দু-চার পা পিছিয়ে যান। সাক্ষীর কথায়, ''সেই সময়ে ব্রিজভূষণ হয়তো বুঝতে পেরেছিল, আমি অন্য ধাতুতে গড়া। ব্রিজভূষণ বলে যাচ্ছিল, ও আমার বাবার মতো। আমি কাঁদতে কাঁদতে ওর ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম।''
এখানেই শেষ নয়। আত্মজীবনীতে সাক্ষী তাঁর এক শিক্ষকের কথাও উল্লেখ করেছেন। সেই শিক্ষক সাক্ষীকে ফোন করে ডেকে আনতেন ক্লাসে। নানা অছিলায় তাঁর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করতেন। সাক্ষী তাঁর আত্মজীবনীর নাম রেখেছেন উইটনেস। যার অর্থ সাক্ষী। তাঁর নামও সাক্ষী। লড়াকু জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা সাক্ষী মালিক তুলে ধরেছেন আত্মজীবনীতে।
