আজকাল ওয়েবডেস্ক: মজা করার সময় কিছুই খেয়াল থাকে না শচীন তেণ্ডুলকরের। খেলার মাঠে প্রতিপক্ষের বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিতেন। আবার সতীর্থদের সঙ্গে এমন মজা করতেন যে তা নিয়ে লিখতে বসলে মহাকাব্য হয়ে যাবে।
যুবরাজ সিংকে বহুবার বোকা বানিয়েছেন শচীন। এবার সুরেশ রায়না এক গল্প বললেন। যেখানে শচীন বিমানসেবিকাকে পর্যন্ত বোল্ড করে দিয়েছিলেন। এমন ভাবে বিমানসেবিকাকে বলেছিলেন, তিনিও অবিশ্বাস করেননি।
আরও পড়ুন: সিরাজের স্পেল নয়, ইংল্যান্ড সিরিজের ম্যাচ ঘোরানো মুহূর্ত বাছলেন যুবি
স্মৃতর ঝাঁপি ওলটালেন সুরেশ রায়না। তিনি বলেন, ''আমার তখন ১৮ বছর বয়স হবে। আমরা টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছিলাম। শচীন পাজির পাশের সিটে বিজনেস ক্লাসে বসে রয়েছি। বিমানসেবিকা এগিয়ে এসে শচীনকে বললেন, গুড মর্নিং শচীন স্যর। কেমন আছেন? সেই এয়ারহোস্টেস ভেবেছিলেন আমি বুঝি অর্জুন তেণ্ডুলকর। চলে যাওয়ার সময়ে সেই এয়ারহোস্টেস আমাকে অর্জুন ভেবে শচীন পাজিকে কিছু বলেছিলেন। শচীন পাজি দেখলেন এটাই মজা করার সেরা সময়। বলে উঠলেন, ও একদমই পড়াশোনা করে না। কী আর করব? আমি অঞ্জলিকেও বলেছি।''
পরে অবশ্য শচীন বিষয়টা পরিষ্কার করে দেন। রায়না বলেন, ''পরে ক্রিকেটাররা সবাই যেখানে ছিলেন আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। তখন আমি শচীন পাজিকে বলেছিলাম আমাকে কেন বিজনেস ক্লাসে বসালেন? অর্জুন তেণ্ডুলকর বানিয়ে দিলেন আমাকে? প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শচীন পাজি সেই বিমানসেবিকাকে বলেন, এ আমাদের ভারতীয় দলের সদস্য। ওর নাম সুরেশ রায়না। আমার ছেলে অর্জুন তেণ্ডুলকর নয়।''
রায়না হাসতে হাসতে জানান শচীন মাঝে মাঝে ভয়ঙ্কর মজা করতেন। সেই অর্জুন তেণ্ডুলকরের বাগদান পর্ব হয়ে গিয়েছে। নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন শচীন-পুত্র। অর্জুন তেন্ডুলকর বাগদান পর্ব সেরেছেন সানিয়া চন্দোকের সঙ্গে।
মুম্বইয়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শিল্পপতি রবি ঘাইয়ের নাতনি সানিয়া। ঘাই পরিবার মুম্বইয়ে পরিচিত হোটেল শিল্প, নিজেদের আইসক্রিম ব্র্যান্ডের জন্য। সানিয়া নিজেও ব্যবসায় তুখোড়। শোনা যায়, দক্ষতার সঙ্গে সংস্থার কাজ-কর্মের দেখভাল করেন তিনি। অর্থাৎ এবার ব্যবসায়ী পরিবারের জামাই হচ্ছেন ক্রিকেটের বাঁ-হাতি বোলার। শচীন ও রায়না একই সঙ্গে খেলেছেন দীর্ঘদিন। ২০১১ সালে ভারত ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিল। সেই দলের সদস্য ছিলেন সুরেশ রায়না। ওয়াংখেড়েতে বিশ্বজয়ের রাতে সতীর্থদের কাঁধে চেপে গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করেন মাস্টার ব্লাস্টার। সেই দৃশ্য ভারতের ক্রিকেটে চিরকালের ফ্রেমে জায়গা করে নিয়েছে। সতীর্থদের কাঁধে শচীন, তাঁর হাতে জাতীয় পতাকা। এদিকে গ্যালারি গান ধরেছে বন্দে মাতরম। সেই দৃশ্যের কথা কেউ কোনওদিন ভুলতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ডার্বি আসে, ডার্বি যায়, এ স্মৃতির ভাগ হয় না, ১৮ বছর আগের ১৭ আগস্টে ডুব দিলেন শিল্টন ...
