আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুম্বই ছেড়ে গোয়ায় পাড়ি দিয়েছিলেন। আবার ঘরে ফিরলেন পথ ভোলা পথিক। রোহিত শর্মার একটি পরামর্শে ইউ টার্ন। গোয়া নয়, আসন্ন ঘরোয়া মরশুমে মুম্বইয়ের হয়েই খেলতে দেখা যাবে যশস্বী জয়েসওয়ালকে। আসন্ন মরশুমে গোয়ায় খেলা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাঁ হাতি ওপেনারের। কিন্তু কেরিয়ারের এই পর্যায় তাঁকে মুম্বইয়ে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেন রোহিত। ভারতের একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়কের পরামর্শে সম্ভিত ফিরল যশস্বীর। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিঙ্ক নায়েক বলেন, 'কেরিয়ারের এই পর্যায়ে রোহিত যশস্বীকে মুম্বইয়ে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। ও বোঝায়, মুম্বইয়ের হয়ে খেলায় গর্ব এবং সম্মান রয়েছে। যারা রেকর্ড ৪২ বার রঞ্জি ট্রফি জিতেছে। একসঙ্গে বলে, তাঁর ভুললে চলবে না যে মুম্বই ক্রিকেট তাঁকে মঞ্চ তৈরি করে দেয়। যেখানে থেকে জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। এটার জন্যই এই শহরের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। মুম্বইয়ের ময়দানে ও ক্রিকেট খেলা শুরু করে। তারপর মুম্বইয়ের সমস্ত বয়সভিত্তিক দলে সুযোগ পায়।'
রোহিত এবং আরও কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে আলোচনার পর নিজের মুম্বই ছাড়ার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন যশস্বী। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে মেইল করে 'নো অবজেকশন' সার্টিফিকেট প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান। অজিঙ্ক নায়েক বলেন, 'রোহিত এবং ভারতীয় দল ও মুম্বইয়ে খেলা কয়েকজন তারকার সঙ্গে কথা বলার পর, মেইল করে আমাদের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রত্যাহার করার অনুরোধ করে। আমরা তাতে সম্মতি দিয়েছি।' মে মাসে এমসিএকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান যশস্বী। বলেন, আগামী ঘরোয়া মরশুমে মুম্বইয়ের হয়ে খেলতে তৈরি তিনি। এপ্রিলে সবাইকে অবাক করে মুম্বই ছেড়ে গোয়ায় খেলার সিদ্ধান্ত নেন তারকা ক্রিকেটার। ব্যক্তিগত কারণ দেখান। কিন্তু শেষপর্যন্ত ঘরের ছেলে ঘরেই থাকছে।
জাতীয় দলে যশস্বীর ওপেনিং পার্টনার রোহিত। তাই ভারত অধিনায়কের সঙ্গে মাঠে এবং মাঠের বাইরে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাঁর। সম্প্রতি ওভালে পঞ্চম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা দেখতে হাজির ছিলেন রোহিত। সেদিন শতরান করেন যশস্বী। তারপর হিটম্যানের সঙ্গে কথপোকথন প্রকাশ্যে আনেন। যশস্বী বলেন, 'আমি রোহিত ভাইকে দেখে হাই বলি। ও আমাকে খেলা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।' তিনি দাবি করেন, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। দুই মহাতারকাকে অনুসরণ করেই এগিয়ে যেতে চান। যশস্বী বলেন, 'সবকিছু পরিকল্পনা করে এগোতে হয়। রোহিত ভাই এবং বিরাট ভাইয়ের সঙ্গে খেলা আমাকে সাহায্য করেছে। ওদের সঙ্গে খেলে মানুষ হিসেবেও আমি নিজেকে তৈরি করেছি। ওদের প্রস্তুতির প্রক্রিয়া আমাকে অনুপ্রাণিত করে।' মাত্র ১১ বছর বয়েসে উত্তরপ্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মুম্বইয়ে আসেন যশস্বী। তারপর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নেন। বিজয় হাজারে ট্রফিতে দ্বিশতরান করেন। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে কেনে। তারপর ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়। সদ্য শেষ হওয়া অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফিতে ৪১১ রান করেন যশস্বী। তারমধ্যে রয়েছে দুটো শতরান এবং দুটো অর্ধশতরান। আগস্টে কোনও খেলা নেই টিম ইন্ডিয়ার। তাই ইংল্যান্ডে ছুটি কাটাতে থেকে গিয়েছেন। ২৮ আগস্ট থেকে বেঙ্গালুরুতে শুরু হবে দলীপ ট্রফি। তার আগেই দেশে ফিরে আসবেন যশস্বী। এদিকে প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মুম্বই। আবাসিক শিবিরের জন্য ২৮ জনের মুম্বইয়ের সিনিয়র দল নাগপুরে পাড়ি দেয়।
