আজকাল ওয়েবডেস্ক: রিয়ান পরাগের জন্যই রাজস্থান রয়্যালস ছাড়তে চান সঞ্জু স্যামসন? এটা ঘটনা আগামী মরসুমের আইপিএলের আগে রাজস্থান রয়্যালস ছাড়তে চাইছেন সঞ্জু স্যামসন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের কারণ কি সতীর্থ রিয়ান পরাগ? এমনটাই ইঙ্গিত করেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুব্রহ্মন্যম বদ্রীনাথ।
 
 নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সঞ্জুর রাজস্থান ছাড়ার বিষয় নিয়ে বদ্রীনাথ বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে এর কারণ রিয়ান পরাগ। রাজস্থান ওকে অধিনায়ক করতে চাইছে। যদি পরাগকেই অধিনায়কের জন্য ভাবা হয় তা হলে সঞ্জু ওখানে কেন থাকবে? সে ক্ষেত্রে ও ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।’
 
 ২০১৩ সালে রাজস্থান কিনেছিল সঞ্জুকে। তার পর থেকে ধীরে ধীরে সেই দলে নিজের জায়গা পাকা করেছেন তিনি। দু’বছরের নির্বাসন কাটিয়ে ২০১৮ সালে রাজস্থান আবার আইপিএলে ফেরে। সঞ্জুও ফেরেন সেই দলে। ২০২১ সালে সঞ্জুকে অধিনায়ক করে রাজস্থান। ২০২২ সালে রাজস্থানকে ফাইনালে তোলেন সঞ্জু। গুজরাট টাইটান্সের কাছে হারতে হয় রাজস্থানকে। 
 
 তবে গত দু’বছরে রাজস্থানের জার্সিতে নজর কেড়েছেন পরাগ। দলের সহ–অধিনায়ক হয়েছেন তিনি। গত বার আইপিএলের প্রথম তিনটে ম্যাচে সঞ্জু ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে শুধু ব্যাট করেছিলেন। সেই তিনটে ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন পরাগ। পরে আঙুলের চোটে সঞ্জু বাদ পড়লে আবার পরাগই অধিনায়কত্ব করেন। গত মরসুমে রাজস্থানকে আটটা ম্যাচে নেতৃত্ব দিলেও মাত্র দুটো জেতাতে পেরেছেন পরাগ। তার পরেও জল্পনা যে পরাগকে ভবিষ্যতের অধিনায়ক ভাবা হচ্ছে। তবে ব্যাট হাতে বেশ রান পেয়েছিলেন পরাগ। সেই কারণেই কি সঞ্জুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে রাজস্থান ফ্রাঞ্চাইজির? বদ্রীনাথ অন্তত এমনটাই মনে করছেন। 
 
 এদিকে, তাঁর রাজস্থান ছাড়া নিয়ে যখন জল্পনা তখন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলের অনুষ্ঠান ‘কুট্টি স্টোরিজ উইথ অ্যাশ’–এ রাজস্থান রয়্যালসকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সঞ্জু।
 
 এটা ঘটনা, ক্রিকেট মহলে গত কয়েক দিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন সঞ্জু। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আর আইপিএল খেলতে চাইছেন না তিনি। তাঁকে ছাড়ার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি রাজস্থান কর্তৃপক্ষ। যদিও চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো দল সঞ্জুকে পেতে আগ্রহী। এই সবের মধ্যেই অশ্বিনের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন সঞ্জু। নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলার সময় তিনি বলেছেন, ‘অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ক্রিকেট নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। তাতে আমার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়েছে। ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও পথ নেই। আমার বিশ্বাস নানা ভাবে সাফল্য আসতে পারে। তাই দলের কেউ নতুন কিছু চেষ্টা করার কথা বললে, তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। সাফল্যের লক্ষ্যে পরীক্ষা–নিরীক্ষাগুলো আমার বেশ দারুণ লাগে।’ 
 
 এরপরই সঞ্জু জানিয়েছেন, শিমরন হেটমেয়ারের মতো ক্রিকেটারকে যে কোনও অধিনায়কই দলে চাইবেন। তিনি বলেছেন, ‘রাজস্থানে দারুণ সব ক্রিকেটারদের পেয়েছি সতীর্থ হিসাবে। তবে হেটমেয়ার এক দম আলাদা। রাত ৮টায় ম্যাচ থাকলে ও বিকাল ৫টায় ঘুম থেকে ওঠে। টিম মিটিংয়ের সময় আবার বসে বসে ঘুমোয়। অথচ মাঠে নামলে অন্য রকম। দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রানগুলো করবে। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়বে। এ ভাবেও যদি কেউ ম্যাচ জেতাতে পারে ক্ষতি কী?’
