আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা চতুর্থ বার অ্যাশেজ সিরিজ হারার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।
গোটা ক্রিকেট বিশ্বের কাছে সমালোচিত তো হতে হয়েছে তার ওপর তীব্র ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলির তরফেও। অ্যাডিলেড ওভালে তৃতীয় টেস্টে ৮২ রানে হারের সঙ্গে সঙ্গেই সিরিজ জয়ের আশা শেষ হয়ে গিয়েছে বেন স্টোকস নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডের।
এই পরাজয়ের পর ইংল্যান্ড দলকে তাদের আগাম বড় বড় দাবি পূরণে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন সমর্থক ও বিশেষজ্ঞরা।
অ্যাশেজের গত তিন টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি পিচে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। আর সেই সুযোগে স্থানীয় মিডিয়া কোনওরকম ছাড় দেয়নি ইংরেজ শিবিরকে খোঁচা দিতে।
বিশেষ করে ‘ওয়েস্ট স্পোর্ট’ সংবাদপত্র ইতিহাসের পাতায় ফিরে গিয়ে ১৮৮২ সালের বিখ্যাত ‘অ্যাশেজ অবিচুয়ারি’-কে নতুন মোড় দিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্যঙ্গ করেছে।
উল্লেখ্য, ১৮৮২ সালে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য স্পোর্টিং টাইমসে প্রকাশিত একটি ব্যঙ্গাত্মক শোকবার্তাই জন্ম দিয়েছিল ক্রিকেটের প্রাচীনতম এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার। যার নাম দেওয়া হয় অ্যাশেজ।
সেই ঐতিহাসিক ঘটনার আদলে এবার ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ব্যাটিং দর্শন ‘বাজবলের’ মৃত্যু ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সম্পূর্ণ ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে ওই পত্রিকায় লেখা হয়, ‘২১ ডিসেম্বর ২০২৫, দ্য ওভালে ‘বাজবল’-এর মৃত্যু হয়েছে।
গভীর শোকাহত ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও বেন স্টোকস, তবে মূলত আর কেউ নন। শান্তিতে ঘুমাও। মাত্র তিনটি ম্যাচ ও ১১ দিনের ক্রিকেটে করুণ ইংলিশদের হারিয়ে অ্যাশেজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।’
প্রতিবেদনটিতে আরও দাবি করা হয়েছে, মাত্র ১১ দিনের মধ্যেই অ্যাশেজ নিশ্চিত করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া, যা ইংল্যান্ডের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।
সিরিজের শুরুতেই পার্থে প্রথম টেস্টে মাত্র দু’দিনে আট উইকেটে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর দিন-রাতের পিঙ্ক-বল টেস্টে ব্রিসবেনেও একই ব্যবধানে আট উইকেটে হারে ইংল্যান্ড।
অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্টে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের প্রত্যাবর্তনে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের জোরালো লড়াই সত্ত্বেও আরও একটি ক্লিনিক্যাল জয় তুলে নেয়।
এখন সিরিজে বাকি দুটি ম্যাচ থাকলেও ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের আশঙ্কায় ভুগতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১১ সালের জানুয়ারির পর অস্ট্রেলিয়ায় আর কোনও টেস্ট জিততে পারেনি ইংল্যান্ড।
সেটাই ছিল তাদের শেষ অ্যাশেজ জয়। ২০১৭ সাল থেকে অ্যাশেজের কাপ আর ইংল্যান্ডের হাতে আসেনি। সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে স্টোকস লড়াইয়ের বার্তা দিলেও সেটা আদৌ কার্যকরী হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ইংল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
