আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশাল সব ছক্কা হাঁকাতে তিনি দক্ষ। মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁকে প্রেরণা জোগায়। সেই রিচা ঘোষ কিন্তু আঙুলে চিড় নিয়ে ফাইনাল খেলেছিলেন। 

এই তথ্য অনেকেরই অজানা। ফাইনালেও মোক্ষম সময়ে শিলিগুড়ির মেয়ে চটজলদি রান করেছিলেন। 

বাংলার পুরুষ দলের সিনিয়র কোচ শিবশঙ্কর পাল ফাইনালের পরদিন রিচাকে নিয়ে রহস্য ফাঁস করেন। তিনি জানান, আঙুলে চিড় ধরা নিয়ে নক আউট খেলেছিলেন রিচা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কার্যত কোয়ার্টার ফাইনালে কিপিং করার সময়ে আঙুলে চোট পান বাংলার মেয়ে। সেই চোটের জন্য মাঠ ছাড়তে হয়েছিল রিচাকে। খেলা সংক্রান্ত একটি সংবাধমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিবশঙ্কর পাল জানান, বাঁ হাতের মধ্যমায় চোট পেয়েছিলেন রিচা। বাংলার সিনিয়র দলের কোচ শিবশঙ্কর পাল বলেন, ''সেমিফাইনালের আগে ওর বাঁ হাতের মধ্যমায় চিড় ধরেছিল।  ওই চোট নিয়েই খেলে যায় রিচা। যন্ত্রণা নিয়ে খেলা প্রমাণ করে ওর মানসিক জোর। আমি রিচাকে বলেছিলাম, যে পজিশনেই ব্যাট করো না কেন, নিজের শটের উপরে আস্থা রেখো। সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করে গিয়েছে রিচা।'' 

ফাইনালে ৩৪ বলে ৩৪ রান করেন রিচা। দীপ্তি শর্মাকে তিনি সাপোর্ট দেন। তাঁদের জন্যই ভারত পঞ্চাশ ওভারের শেষে ২৯৮ রান করে। আর ওই রান তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়া ব্রিগেড কুপোকাৎ হয়। বিশ্বকাপে আটটি ইনিংসে রিচা ২৩৫ রান করেন। তার মধ্যে লিগ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৭৭ বলে ৯৪ রান করেন রিচা। 

রিচার সাফল্যে গর্বিত উত্তরবঙ্গ। ফাইনালের দিন রাত জেগেছে শিলিগুড়ি। রিচা ঘোষ দেশের শ্বাসপ্রশ্বাসে। তাঁর বড় শটের উপরে আস্থা ছিল দলের প্রত্যেকের। যখনই প্রয়োজন হয়েছে, রিচা ঘোষের ব্যাট তখনই ঝলসে উঠেছে।