আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছিল ২০২৫ সালে। প্রথমবার আইপিএল জিতেছিল আরসিবি। আর তার পরের ঘটনা ইতিহাস হয়ে গেছে। যা পরিস্থিতি আগামী আইপিএলে চিন্নাস্বামী থেকে সরতে পারে বিরাটদের ম্যাচ। চলতি বছরের ৪ জুন কোহলিদের বিজয় মিছিলে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট হয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মৃত্যুর ঘটনার পর বড়সড় পদক্ষেপ করেছে কর্নাটক সরকার। আর যার জেরে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কোহলিদের খেলার পথ আরও কঠিন হল।
কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ)–কে ইতিমধ্যেই একটি আনুষ্ঠানিক নোটিশ জারি করেছে পূর্ত দপ্তর (পিডব্লিউডি)। তাতে স্টেডিয়ামের সুরক্ষায় উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টটি ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিজ সার্টিফাই করেছে।
এটা ঘটনা, পদপিষ্টের ঘটনার পর মহিলাদের বিশ্বকাপের ম্যাচও চিন্নাস্বামী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে আইপিএলের ম্যাচও সরতে পারে। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু নয়, পুণের গাহুঞ্জেতে খেলতে পারে আরসিবি। যদিও কোনও কিছুই এখনও নিশ্চিত নয়। এই পরিস্থিতিতে কিছু টেকনিক্যাল বিষয় প্রমাণ করার নির্দেশ জারি হয়েছে কর্নাটক সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, পিডব্লিউডি–লিজ নেওয়া ১৭ একর জমির উপর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম শহরের কেন্দ্রস্থলে নির্মিত। এখন প্রমাণ করতে হবে, এই স্টেডিয়াম আদৌ বিপুল পরিমাণ দর্শকদের জন্য নিরাপদ কি না। মোদ্দা কথা চিন্নাস্বামীর ফিটনেস সার্টিফিকেট চাইছে রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্ট পেলেই চিন্নাস্বামীতে আইপিএলের ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই বিপাকে চিন্নাস্বামী। দলের সেলিব্রেশনের সময় স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ৪৭ জন। মর্মান্তিক ঘটনায় স্বতোঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে কর্নাটক হাইকোর্ট। তারপর থেকেই ঘটনার দায় ঠেলাঠেলি চলছে কর্নাটক সরকার এবং কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে।
