আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরাখণ্ড ও গুজরাট ম্যাচে এসেছিল পুরো ৬ পয়েন্ট। কিন্তু রঞ্জির তৃতীয় ম্যাচে আটকে গেল বাংলা। ‘দুর্বল’ ত্রিপুরার বিরুদ্ধে পেল মাত্র এক পয়েন্ট।
তিন পয়েন্টও এল না। আগরতলায় ত্রিপুরার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লিড নিতে ব্যর্থ বাংলা। কোনওক্রমে ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বাংলাকে। প্রথম ২ ম্যাচে ১৫ উইকেট পাওয়ার পর এই ম্যাচে কোনও উইকেট পেলেন না মহম্মদ সামি।
ত্রিপুরার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৩৩৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলা। ১০৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সুদীপ চ্যাটার্জি। সাকিব গান্ধী ৯৫ রান করেন। এরপর ত্রিপুরা ব্যাট করতে নামতেই শুরু হয় বাংলার পেসারদের দাপট। মহম্মদ সামির সঙ্গে এই ম্যাচ খেলেছেন তাঁর ভাই মহম্মদ কাইফও। কাইফ শুরু থেকেই আগুনে বোলিং করতে থাকেন। যার ফলে ত্রিপুরা একটা সময় ৫৩/৫ হয়ে গিয়েছিল। এরপর হয়ে যায় ৯৩/৬। যে ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট পাওয়ার কথা, কে ভেবেছিল সেই ম্যাচ থেকে আসবে মাত্র এক পয়েন্ট।
হনুমা বিহারী আর বিজয় শঙ্করের একটা পার্টনারশিপ সেই আশায় জল ঢেলে দেয়। তৃতীয় দিনের শেষে হনুমা ১২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিনে তিনি যখন আউট হন, তখন ত্রিপুরা ১৬ রানে পিছিয়ে। বাংলার দরকার ২ উইকেট। অন্তত ৩ পয়েন্ট আসতেই পারত। কিন্তু সেটাও হল না। একা কুম্ভের মতো লড়ে গেলেন অধিনায়ক মণিশঙ্কর মুরাসিং। ত্রিপুরা ৩৮৫ রানে অলআউট হলেও মণিশঙ্কর ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন। ১০ নম্বরে নামা রানা দত্ত পর্যন্ত ২৭ রান করে যান।
গোটা ইনিংসে ২৫ ওভার বল করে ৭৬ রান দিলেও উইকেটহীন থাকলেন সামি। কাইফ পেলেন ৪ উইকেট। ঈশান পোড়েল নেন তিন উইকেট। রাহুল প্রসাদের দখলে দুটি। বৃষ্টির ফলে প্রথম দু’টো দিন অনেকটাই সময় নষ্ট হয়। এর সঙ্গে একগুচ্ছ ক্যাচ নষ্ট করেছেন এই ম্যাচে বাংলার অধিনায়ক অভিষেক পোড়েল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯ রানে পিছিয়ে বাংলা ব্যাট করতে নামলেও ম্যাচের ভাগ্য তখন ঠিক হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বাংলা ৩ উইকেটে ৯০ রানে থাকা অবস্থায় ম্যাচ ড্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ত্রিপুরা পেল তিন পয়েন্ট। আর বাংলার ভাগ্যে মাত্র এক পয়েন্ট।
