আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে উঠেছে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ। এরপরই পাল্টা মুখ খুলল ফ্রাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ।
 
 প্রসঙ্গত, লখনউ ম্যাচে ২ রানে হেরে যায় রাজস্থান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। কিন্তু রাজস্থান তা পারেনি। এরপরই রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাড–হক কমিটির আহ্বায়ক এবং বিজেপি বিধায়ক জয়দীপ বিহানি। তাঁর কথায়, ‘একজন শিশুও বুঝতে পারবে যে এই ম্যাচটা ফিক্সড ছিল। শেষ ওভারে যখন ৯ রান দরকার ছিল, সেটাও রাজস্থান রয়্যালস তুলতে পারল না’। পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ রাজস্থান ফ্র্যাঞ্চাইজি আরসিএ–কে ম্যানেজমেন্টে অন্তর্ভুক্ত হতে দিচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ‘অ্যাড–হক কমিটির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যাতে প্রতিটি ম্যাচ নিরপক্ষে ভাবে হয়। কিন্তু আইপিএল এলেই জেলা পরিষদ পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। অথচ বিসিসিআই প্রথমে রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি পাঠিয়েছিল, জেলা পরিষদকে নয়। এখন অজুহাত দেওয়া হচ্ছে আরসিএ–র সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামের সঙ্গে মউ নেই। যদি মউ না–ও থাকে, তারপরেও টাকা দেওয়া হচ্ছে জেলা পরিষদকে’।
 
 গড়াপেটার অভিযোগ উঠতেই এবার মুখ খুলেছে রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ। ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা এবং ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফ্রাঞ্চাইজির তরফে সাফ জানানো হয়েছে, গড়াপেটার যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে। এমন ভিত্তিহীন অভিযোগের জেরে ফ্র্যাঞ্চাইজির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
 
 রাজস্থান দলের এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, ‘অ্যাড–হক কমিটির কনভেনারের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করছি। প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য ভিত্তিহীন। এমন মন্তব্যের জেরে দলের ভাবমূর্তি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে।’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে আরও বলা হয়েছে, গত ১৮ বছর ধরে রাজস্থান সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে তারা। প্রসঙ্গত, অতীতে গড়াপেটার অভিযোগে ২ বছর নির্বাসিত ছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে এবার গড়াপেটার অভিযোগ একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েছে তারা। বরং রাজ্য প্রশাসনের কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজির আবেদন, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক বিহানির বিরুদ্ধে। 
