আজকাল ওয়েবডেস্ক: চেন্নাই সুপার কিংস ছাড়তে চান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সিএসকে ফ্রাঞ্চাইজিকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি। তারকা স্পিনারের কথায়, ইয়েলো আর্মিতে তাঁর আদৌ কোনও ভবিষ্যৎ রয়েছে কিনা তা নিয়ে যেন ফ্র্যাঞ্চাইজি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়। এই বার্তা দিতে গিয়ে নিজের পুরনো দল রাজস্থান রয়্যালসের খানিক প্রশংসাও করেছেন এই অফস্পিনার।
এটা ঘটনা, দীর্ঘ সাত বছর চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে খেলেছেন অশ্বিন। এরপর পাঞ্জাব, দিল্লি ক্যাপিটালস, রাজস্থান রয়্যালসে খেলে গত বার ফের ফিরে এসেছিলেন সিএসকে’তে। ২০২৫ সালের মেগা নিলামে ৯.৭৫ কোটি টাকায় অশ্বিনকে কেনে চেন্নাই। এক দশক পর সিএসকে’তে ফিরলেও গত মরশুমে প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স করতে পারেননি অশ্বিন। ন’টি ম্যাচে নেন মাত্র ৭ উইকেট। গড়ও আহামরি নয়। ৪০.৪৩। এমন পারফরম্যান্সে খুব স্বাভাবিকভাবেই ম্যানেজমেন্ট যে খুশি নয় তা বলাই বাহুল্য।
দিনকয়েক আগে জল্পনা ছড়ায়, সিএসকে ছাড়ার কথা ভাবছেন অশ্বিন। এবার সেই জল্পনার মাঝেই ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে বেশ কড়া সুর শোনা গেল অফস্পিনারের গলায়। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আমি তিন বছর খেলেছি। প্রথম বছর শেষ হতেই সিইও আমাকে ইমেল পাঠান। সেখানে আমার পারফরম্যান্সের খুঁটিনাটি লেখা ছিল। সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের বার্তা, আমার কাছে ওদের কী প্রত্যাশা। সেটা জানিয়ে ওরা চুক্তি নবীকরণ করে বা ক্রিকেটারকে নিলামে পাঠায়।’
অশ্বিনের মতে, প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তব্য এইভাবে ক্রিকেটারকে জানিয়ে দেওয়া, তাঁকে দলে রাখা হবে কিনা। তবে দল ছাড়ার যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তাতে তাঁর নিজের কোনও ভূমিকা নেই বলেই দাবি করেছেন অশ্বিন। তাঁর মতে, চেন্নাই সুপার কিংসে তাঁর কী ভবিষ্যৎ সেটা নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না, বিষয়টি তাঁর হাতে নেই।
অন্যদিকে, সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের এক মুদির দোকানির নামে রজত পতিদারের সিম নথিভুক্ত হওয়ায় কম শোরগোল হয়নি। বিরাট কোহলি, এবি ডিভিলিয়ার্সদের সঙ্গে কথাও বলে ফেলেন ওই দোকানি। কাকতালীয় ভাবে ওই দোকানির কাছে চলে এসেছিল পতিদারের ফোন নম্বর। কিন্তু এ বার কোহলির ফোন নম্বর নেওয়ার জন্য রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করলেন এক প্রতারক। যদিও শেষ পর্যন্ত পারেননি তিনি। বুঝে ফেলেন অশ্বিন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেই বিষয়ে অশ্বিন বলেছেন, সম্প্রতি হোয়াট্সঅ্যাপে একটা অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে মেসেজ পান অশ্বিন। যে ব্যক্তি মেসেজ করেছিলেন তিনি নিজেকে চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটার ডেভন কনওয়ে হিসাবে পরিচিতি দেন। অশ্বিন প্রথমে সেটা বিশ্বাস করেছিলেন। তার পর ওই ব্যক্তি অশ্বিনের কাছে কোহলির ফোন নম্বর চান। তখন সন্দেহ হয় অশ্বিনের।
যাচাই করার জন্য কোহলির একটা বন্ধ হয়ে যাওয়া ফোন নম্বর ওই ব্যক্তিকে পাঠান অশ্বিন। তার পরে তাঁকে প্রশ্ন করেন, যে ব্যাটটা তিনি উপহার দিয়েছিলেন, সেটা কেমন। জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, ব্যাটটা ভাল। তখনই অশ্বিন বুঝে যান ওই ব্যক্তি প্রতারক। কারণ, তিনি কনওয়েকে কোনও ব্যাট দেননি। সঙ্গে সঙ্গে ওই ফোন নম্বর তিনি ব্লক করে দেন। তার পরে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বুঝতে পারেন যে ভুয়ো নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে।
