আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের আর এক নাম অভিমন্যু ঈশ্বরণ।  বাংলার এই নির্ভরযোগ্য ওপেনার রঞ্জি ট্রফিতে বছরের পর বছর রানের পাহাড় গড়লেও এখনও পর্যন্ত ভারতীয় টেস্ট দলে তাঁর অভিষেক হয়নি।

দেশে এং বিদেশে বহুবার জাতীয় দলে থাকা সত্ত্বেও বারবার উপেক্ষিত হয়েছেন তিনি। সুযোগ এলেই নির্বাচকরা অন্য কাউকে বেছে নিয়েছেন তার বদলে। ১০৯টি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচে ঈশ্বরণ করেছেন ৮১৩৬ রান, গড় ৪৭.৮৫।

যা তাঁকে দেশের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। তবে ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটার আইপিএলে কখনও খেলেননি এবং সাদা বলের ক্রিকেটেও ততটা পরিচিত নন।

অনেকেই মনে করেন, এই কারণেই টেস্ট দলের দরজা এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি খুলছে না তার জন্য। বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী টিম ম্যানেজমেন্ট অনেক সময় সাদা বলের তারকাদেরই টেস্টে সুযোগ দিচ্ছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে মনে হচ্ছে ঈশ্বরণ নিজেই তার পরিচিতির পরিসর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৬৬ বলে দুর্দান্ত ১৩০ রানের ইনিংস খেলেই তিনি নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের।

যদিও অভিমন্যু ঈশ্বরণের সেই ইনিংস বাংলাকে জেতাতে পারেনি, কিন্তু দেশজুড়ে তার এই আগ্রাসী পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে সবার।

ভারতের প্রাক্তন অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও তার এই ইনিংসকে কেন্দ্র করে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকর এবং প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরকে পরোক্ষভাবে খোঁচা দেন।

নিজের ইউটিউব শো ‘Ash Ki Baat’-এ অশ্বিন বলেন, ‘অভিমন্যু ঈশ্বরণ এখন টি-টোয়েন্টিতেও সেঞ্চুরি করেছে। এবার নিশ্চয়ই তাকে টেস্ট দলে দেখা যাবে। টি-টোয়েন্টিতে রান করলে টেস্ট দলে সুযোগ তো মিলবেই।’

বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পরও ইংল্যান্ড সিরিজে ঈশ্বরণকে একাদশে জায়গা দেওয়া হয়নি। সেই সিদ্ধান্তে সমালোচনা ওঠে, কারণ সাই সুদর্শন ও করুণ নায়ারের পারফরম্যান্স বিশেষ নজরকাড়া ছিল না।

যদিও ঈশ্বরণকে নিয়ে একটি সমালোচনা সবসময়ই ছিল ভারত ‘এ’ দলের হয়ে তিনি ধারাবাহিকভাবে রান করতে পারেন না। চলতি বছরের শুরুতে এক সাক্ষাৎকারে ঈশ্বরণ নিজেও স্বীকার করেছিলেন যে জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া তাকে কষ্ট দেয়।

তিনি বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, কখনও কখনও সত্যিই খারাপ লাগে। এত পরিশ্রম করি, কঠোর অনুশীলন করি, স্বপ্ন থাকে মাঠে নেমে দলের জয়ে অবদান রাখার। তবে আমার সৌভাগ্য যে পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও কোচ সবাই আমার পাশে আছে। তারা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। এখন আমি ভাল মানসিক অবস্থায় আছি এবং আগামীর রঞ্জি মরশুমের দিকে তাকিয়ে আছি।’