আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিরিজের শেষ ম্যাচ শনিবার বিশাখাপত্তনমে। সিরিজ জিততে ভরসা সেই রো–কো জুটিই। দুই ম্যাচেই শতরান করেছেন বিরাট। আর রোহিতের রয়েছে একটি অর্ধশতরান। তবে চিন্তা থাকছে যশস্বী জয়েসওয়ালের ফর্ম ও বোলারদের অফ ফর্ম।
রাঁচিতে রোহিত অর্ধশতরান এবং কোহলি শতরান করেছিলেন। রায়পুরে রোহিত না পেলেও কোহলি টানা দ্বিতীয় শতরান করেছিলেন। বিশাখাপত্তনমে দুই ক্রিকেটারের ব্যাটেই রান চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কোহলির সামনে রয়েছে শতরানের হ্যাটট্রিকের সুযোগ। বিশাখাপত্তনমে তাঁর পরিসংখ্যানও ভাল।
রুতুরাজ গায়কোয়াড় রায়পুরে শতরান করায় চিন্তা কমেছে টিম ম্যানেজমেন্টের। তবে যশস্বীকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। দু’টি ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বাঁ হাতি পেসারদের বিরুদ্ধে দুর্বলতা প্রতি ম্যাচেই দেখা যাচ্ছে। তৃতীয় ম্যাচে রানে ফিরতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
এটা ঘটনা, বিশাখাপত্তনমের পিচ সাধারণত ব্যাটারদের সাহায্য করে। ২০০৫ থেকে এই মাঠে ১০টি ম্যাচ খেলে ভারত জিতেছে সাতটিতে। শেষ বার অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে। তবু ব্যাটিং গভীরতার কথা মাথায় রেখে এই ম্যাচে ওয়াশিংটন সুন্দরের জায়গায় তিলক বর্মাকে খেলানো হলেও হতে পারে। এতে মিডল অর্ডারও শক্তিশালী হবে। নতুন এক ব্যাটারকেও দেখে নেওয়া যাবে।
ঋষভ পন্থও হিসাবের মধ্যে রয়েছেন। তবে পার্টটাইম স্পিনার হওয়ার জন্য তিলক আবার পন্থের থেকে এগিয়ে থাকবেন। উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় বাতাসে আর্দ্রতা থাকবে। রাতের দিকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা। রাঁচি বা রায়পুরের মতো না হলেও শিশির পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
শুক্রবার ঐচ্ছিক অনুশীলনে রোহিত, কোহলি–সহ বড় ক্রিকেটারদের কাউকেই দেখা যায়নি। যশস্বী, ওয়াশিংটন, নীতীশ রেড্ডি এবং তিলক এসেছিলেন।
প্রশ্ন থাকছে ভারতের বোলারদের নিয়ে। রায়পুরে জঘন্য বোলিং করেছেন কৃষ্ণারা। শিশিরে বল ভিজে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন স্পিনাররা। বিশাখাপত্তনমে হয়তো একটু সাহায্য পাওয়া যাবে। তবে নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে উন্নতি না হলে কিন্তু সমস্যা। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার চিন্তা টনি ডি জর্জি এবং বার্গার। দু’জনকেই রায়পুরে খোঁড়াতে খোঁড়াতে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। তৃতীয় ম্যাচে তাঁদের খেলা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
