আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাক হকিতে ডামাডোল। অর্থাভাবে ধুঁকছে পাকিস্তানের হকি। পরিস্থিতি এমনই ভয়ঙ্কর যে ২০২৫–২৬ প্রো লিগ খেলাও অনিশ্চিত। আন্তর্জাতিক স্তরে আরও পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
এটা ঘটনা, গত কয়েক বছর ধরেই নেমে চলেছে পাকিস্তানের হকির মান। টানা তিনটি অলিম্পিক্সে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি তারা। শেষ তিনটি বিশ্বকাপের দু’টি খেলতে পারেনি। শেষ দু’টি এশিয়ান গেমসেও পদকহীন ছিল পাকিস্তান হকি দল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টানা ব্যর্থতায় সরে গিয়েছে একের পর এক স্পনসর। পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের (পিএইচএফ) অবস্থা এতটাই খারাপ যে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার মতো টাকাও নেই।
আরও পড়ুন: পন্থের চোট নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ওকস, কী বললেন ইংরেজ পেসার জানুন
নিউজিল্যান্ড ২০২৪–২৫ মরসুমের নেশনস কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ২০২৫–২৬ মরসুমের প্রো লিগে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। কিন্তু প্রতিযোগিতা থেকে নিউজিল্যান্ড নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আন্তর্জাতিক হকি সংস্থা (এফআইএইচ) সুযোগ দিয়েছে রানার্স পাকিস্তানকে। গত বুধবার এফআইএইচ সরকারি ভাবে চিঠি দিয়ে প্রো লিগ খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তানকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ১২ আগস্টের মধ্যে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এফআইএইচকে।
সুযোগ পেলেও সংশয়ে রয়েছেন পাকিস্তানের হকি কর্তারা। বিদেশে দল পাঠানোর মতো টাকা নেই পিএইচএফর ভান্ডারে। হকি কর্তারা পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ডের কাছে ২৫ লাখ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২১ কোটি ২০ লাখ টাকা) সাহায্য চেয়েছেন। এই টাকা পেলে তবেই প্রো লিগ খেলতে জাতীয় দলকে বিদেশে পাঠাতে পারবে পিএইচএফ। টাকা না পাওয়া পর্যন্ত প্রো লিগ খেলার ব্যাপারে এফআইএইচকে কথা দিতে পারছেন না পাকিস্তানের হকি কর্তারা।
তাতেও আবার নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। টাকা দেওয়ার আগে গত বছরের হিসাব বুঝে নিতে চান পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ডের কর্তারা। গত বছর যে টাকা হকি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল, তার হিসাব চাওয়া হয়েছে। পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘আমাদের দেওয়া টাকা হকি সংস্থা কী ভাবে খরচ করেছে, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। তার পরই প্রো লিগে খেলার জন্য হকি ফেডারেশনকে টাকা দেওয়া যেতে পারে। সব ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ আর্থিক সাহায্যের জন্য সুপারিশ করা হবে।’ এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রো লিগ খেলা কঠিন বলেই মনে করছেন সে দেশের প্রাক্তন খেলোয়াড়দের একাংশ।
এদিকে, প্রতিযোগিতায় খেলার কথা ন’টি দলের। আগেই যোগ্যতা অর্জন করেছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম ইংল্যান্ড, জার্মানি, ভারত, নেদারল্যান্ডস এবং স্পেন। নবম দল হিসাবে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানকে। এমনটাই খবর।
এটা ঘটনা পাক ক্রিকেটের অবস্থাও তথৈবচ। ঘরে বাইরে ক্রমাগত হেরেই চলেছে। ভারতের কাছে হারা তো অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও হারতে হয়েছে। বাবরদের পারফরম্যান্স নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এখন আবার যাবতীয় আলোচনা এশিয়া কাপ নিয়ে। আদৌ টুর্নামেন্ট হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। ঢাকায় বৈঠক হলেও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। এই পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ভারত–পাক মুখোমুখি হওয়ার কথা সেপ্টেম্বরের শুরুতে।
