আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিন ম্যাচে হারের হ্যাটট্রিক। বেঙ্গালুরু, কেরলের পর ঘরের মাঠে মুখ থুবড়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। মরশুমের শুরুতেই কোচের পদত্যাগ। কার্লেস কুয়াদ্রাত যুগ অতীত। এবার নতুন করে শুরু করার পালা। অন্তর্বর্তী কোচ বিনো জর্জের অধীনে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু লাল হলুদের। ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলকে কলকাতা লিগ জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন কেরলের কোচ। এবার কুয়াদ্রাত পরবর্তী জমানায় ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম জয় এনে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ বিনোর সামনে। ফুটবলারদের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁর। প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আশাবাদী। ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্বর্তী কোচ মনে করেন, একটি জয় গোটা চিত্র বদলে দেবে। বিনো বলেন, 'আমার প্লেয়ারদের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ওরা কঠোর পরিশ্রম করছে। শেষ তিনটে ম্যাচে আমরা রেজাল্ট পাইনি। আমরা কিছু ভুল করেছি। তবে আমি জানি ছেলেদের প্রত্যাবর্তন করার ক্ষমতা আছে। এরই নাম ইস্টবেঙ্গল। সবাই নিজেদের দায়িত্ব বোঝে। দলের ফাউন্ডেশন গড়ে দেওয়ার জন্য আমি কোচ কার্লেসকে সম্মান করি। আইএসএলে একটা জয় দলকে ছন্দে ফেরাবে। আমার কাজ ছেলেদের মোটিভেট করা, এবং সেরাটা বের করে আনা।' 

জামশেদপুরের বিরুদ্ধে লড়াইটা সহজ হবে না লাল হলুদের। খালেদ জামিলের দল যথেষ্ট শক্তিশালী। তারওপর ঘরের মাঠ। কিন্তু তিন পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়েই নামবে ইস্টবেঙ্গল। বিনো বলেন, 'আইএসএল লম্বা লিগ। আমাদের এখনও ২১টা ম্যাচ বাকি। প্লেয়াররা ধীরে ধীরে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। এবার আমাদের দল শক্তিশালী। আমরা জয়ের আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আশা করব আমরা জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ভাল খেলে জিতব। ফ্যানদের অনুরোধ করব জামশেদপুরে এসে আমাদের সমর্থন করতে।' বৃহস্পতিবার বিকেলে টাটার শহরে পৌঁছে যায় ইস্টবেঙ্গল দল। শুক্রবার জামশেদপুরেই ম্যাচের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারবেন মহেশ, নন্দরা। মোট ন'বার দুই দল মুখোমুখি হয়েছে। তারমধ্যে তিনবার জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। তিনবার হেরেছে। তিনটে ম্যাচ ড্র হয়েছে। সুতরাং সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হবে।