আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র ১৪ বছর বয়সে ক্রিকেটমহলে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন। বাচ্চাদের মতো মুখ, কিন্তু পাওয়ার হিটিংয়ে বড়দের সমানতালে টক্কর দেন। পরিপক্বতা এবং দক্ষতা দিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন। গত আইপিএলে বড় মঞ্চে নিজের আবির্ভাবের ঘোষণা করেন। দাপুটে শতরান হাঁকান। মাত্র ৩৮ বলে ১০১ রান করেন। ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখান। আইপিএলে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে শতরানের রেকর্ড গড়েন। ক্রিস গেইলের পর কোটিপতি লিগে দ্বিতীয় দ্রুততম ইনিংস। মাত্র ৩০ বলে শতরান করেছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। বিশ্বমঞ্চে নিজের প্রতিভা মেলে ধরেন। ভয়ডরহীন ক্রিকেট এবং অনায়াসে বড় শট হাঁকানোর ক্ষমতা তাঁকে ফ্যানদের ফেভারিট করে তুলেছে। অনেকেই তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত মনে করছে।
রাজস্থান রয়্যালসে তাঁর সঙ্গে খেলেন নীতিশ রানা। সূর্যবংশীর দিকে কড়া নজর রেখেছেন তিনি। এবার উঠতি তারকার বয়স নিয়ে মশকরা করলেন বাঁ হাতি তারকা। রানা বলেন, 'সত্যিই কি সূর্যবংশীর বয়স ১৪ বছর?' প্রশ্ন তুলেই হেসে লুটিয়ে পড়েন। বৈভবকে ব্যাট করার সময় অনেকের মনে হয়তো এই প্রশ্ন জাগে। অতি অল্প বয়সেই মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ওয়েস্ট দিল্লি লায়ন্সকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর ব়্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে অংশ নেন নীতিশ। সেখানে তাঁকে সঞ্জু স্যামসনকে নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। এমন একটি জিনিস বলতে বলা হয়, যা গোটা বিশ্ব জানে না। নীতিশ প্রশ্ন করেন, 'পরের বছর ও কোথায় খেলবে?' রাজস্থান রয়্যালসের সতীর্থ রিয়ান পরাগকে নিয়েও মন্তব্য করেন কেকেআরের প্রাক্তন তারকা। নীতিশ বলেন, 'ওকে দেখে যেমন মনে হয়, ও তেমন নয়। আসল জীবনে ও খুবই নরম প্রকৃতির। খুব ভাল করে কথা বলে। টিভিতে হয়ত ওর আচরণের ভুল ব্যাখ্যা হয়। কিন্তু ও তেমন নয়।'
কয়েকদিন আগে বৈভবকে দরাজ সার্টিফিকেট দেন রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর হাত ধরেই বিশ্বমঞ্চে অভিষেক হয় আরও এক তরুণের। রাতারাতি স্টার হয়ে হয়ে যান তিনি। কী বিশেষ গুণ তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা করে, সেই বিষয়ে জানিয়েছিলেন সদ্য প্রাক্তন হওয়া রাজস্থানের হেড কোচ? দ্রাবিড় বলেন, 'ওর মধ্যে কোনও ভয় নেই। বড় মঞ্চে ভয় পায় না। এত অল্প বয়সীদের মধ্যে যা পাওয়া যায় না। হাতে বিভিন্ন শট আছে। আগামী দিনে এর থেকে আরও ভাল হবে। ও এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। দলগুলো ওর বিরুদ্ধে স্মার্ট ক্রিকেট খেলবে। টি-২০ এমনই একটা ফরম্যাট, যেখানে সব ম্যাচে রান পাবে না।' সূর্যবংশীর শটের বৈচিত্রের প্রশংসা করেন রাজস্থানের প্রাক্তন হেড কোচ। ইতিহাসের পাতায় নাম তোলার পর দ্রাবিড়ের নাম উল্লেখ করেছিলেন উঠতি তারকা। জানান, গত তিন মাসে তাঁর তত্ত্বাবধানে থেকে অনেকটাই উন্নতি করেছেন। কিন্তু কৃতিত্ব নিতে চাননি দ্রাবিড়। তিনি বলেছিলেন, নিজের কৃতিত্ব এবং প্রতিভাই বৈভবকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।
