আজকাল ওয়েবডেস্ক: জন্মদিনে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটালেন নেইমার। শৈশবের ক্লাব স্যান্টোসের হয়েই এবার খেলতে দেখা যাবে তাঁকে।
স্যান্টোসের জার্সিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে নেইমার নামলেন নিজের জন্মদিনে। চাঁকে দেখার জন্য সে কী ভিড়! আবেগের খণ্ড খণ্ড ছবি দিয়ে তৈরি করা যায় বড় এক কোলাজ।
ঘরের ছেলের মাঠে নামার অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। দ্বিতীয়ার্ধে এল সেই সন্ধিক্ষণ। নেইমার নামলেন। সমর্থকরা উজ্জীবিত তখন। রাজপুত্র কী করেন, তার দিকেই নজর সবার।
না, নেইমার বিশেষ কিছু করতে পারেননি। বল পায়ে তিনি ড্রিবল করেন, জাদু দেখান, সেই চিরাচরিত চেনা স্কিলের ঝলক দেখা যায়নি নেইমারের পায়ে।
দু-একবার তিনি ভেলকি দেখানোর চেষ্টা করেন। একবার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু গোল হয়নি।
ম্যাচটা ছিল স্যান্টোস ও বোতাফোগোর। ব্রাজিলিয়ান পাউলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। সেই ম্যাচ আসলে ছিল নেইমারের মাঠে নামার ম্যাচ। খেলাটি ১-১ গোলে শেষ হয়। নেইমার গোল করতে পারলে সব দিক থেকেই দুর্দান্ত হত তাঁর প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ।
নেইমার হয়তো স্যান্টোসের পরের ম্যাচগুলোয় গোল পাবেন। সমর্থকরাও সেই প্রতীক্ষাতেই রয়েছেন। প্রথমার্ধে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় স্যান্টোস। ৬৭ মিনিটে সমতা ফেরায় বোতাফোগো।
ম্যাচে গোল করতে না পারলেও নেইমারই কিন্তু ম্যাচের সেরা হয়েছেন। আগামিদিনে আরও ম্যাচের সেরা হওয়ার পুরস্কার হয়তো পাবেন নেইমার। নেইমার বলেন, ''ম্যাচটা খুবই কঠিন ছিল। আমার বাবা মাঠে ছিলেন। আমি আগেই বাবাকে বলেছিলাম, ম্যাচটা কঠিন হতে চলেছে। আমাকে আরও অনুশীলন করতে হবে।''
