আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্পোর্টস পাওয়ারহাউজ হওয়াই লক্ষ্য। সেই কারণেই ২০৩৬ সালের অলিম্পিক, প্যারালিম্পিক আয়োজনের জন্য ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা সরকারিভাবে ফিউচার হোস্ট কমিশন, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। 
একটি সূত্র অনুযায়ী, ''প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান ২০৩৬ সালের অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক আয়োজন করুক ভারত। সেই লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করা গেল।'' 

অলিম্পিক শহরকেন্দ্রিক। নির্দিষ্ট একটি শহরে হয় অলিম্পিক। আয়োজক দেশ হওয়ার জন্য ভারত উদ্যোগ নিলেও কোন শহরে অলিম্পিক হবে, তা স্থির করা হয়নি। এর মধ্যেই একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, মুম্বই বা আহমেদাবাদ নয়, অলিম্পিকের ভেন্যু হওয়ার ক্ষেত্রে দিল্লি এবং তৎসন্নিহিত অঞ্চল এবং আগ্রাই এগিয়ে।

প্রথম দিকে এগিয়েছিল আহমেদাবাদ। তার কারণ বিশ্বের বৃহত্তম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের উপস্থিতি। ১.৩২ লক্ষ দর্শক উপস্থিত থাকতে পারেন এই স্টেডিয়ামে। 

মুম্বইয়ের নামও ভেসেছিল। বাণিজ্য নগরী হিসেবে মুম্বইয়ের সুনাম রয়েছে। কিন্তু এখনকার খবর অনুযায়ী, দিল্লি এবং আগ্রা দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে। তার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। তাজমহলের অবস্থানের জন্য দিল্লি এবং আগ্রাই এই মুহূর্তে দেশের অন্যান্য শহরগুলোকে টেক্কা দিয়েছে।

অলিম্পিকে এই তাজমহলকেই থিম করা যেতে বলে মনে করা হচ্ছে। তাজমহলের গুরুত্ব রয়েছে গোটা বিশ্বে। শুধুমাত্র এর টানেই গোটা বিশ্বের পর্যটক ভিড় জমান দিল্লিতে। তাছাড়া দিল্লি ও সন্নিহিত অঞ্চল এবং আগ্রার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ ভাল। ফলে এখন অলিম্পিকের শহর হিসেবে এগিয়ে দিল্লি ও আগ্রাই। শেষমেশ কী হবে, তা বলবে সময়।