আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইরানি কাপে নজর কেড়ে নিয়েছেন সরফরাজ খান। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে মুম্বই পাহাড়প্রমাণ রান করেছে। কিন্তু মুম্বইয়ের সাজঘরে চিন্তার মেঘ। কারণ অলরাউন্ডার শার্দূল ঠাকুরকে হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৫৯ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।

তার পরই জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়। শার্দূল জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। ১০২ ডিগ্রি জ্বর ছিল তাঁর। প্রথম দিন হাল্কা জ্বর ছিল। দ্বিতীয় দিন প্রায় ২ ঘণ্টার কাছাকাছি ব্যাটিং করেন শার্দূল ঠাকুর। তাতে জ্বর আরও বেড়ে যায় এই অলরাউন্ডারের। সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ''ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গির জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে শার্দূলের। রক্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি। রাতে শার্দূলকে হাসপাতালে থাকতে হবে।'' 

শার্দূল ঠাকুর ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। জ্বর এবং দুর্বলতার জন্যই তিনি ব্যাট করতে নামেন পরের দিকে। ব্যাট করার সময়ে দু'বার শুশ্রূষা করতে হয় শার্দূল ঠাকুরের। দিনের শেষে শার্দূল ঠাকুরকে হাসপাতালে স্থানান্তিরত করতে হয়। গোটা রাত স্থানীয় হাসপাতালে কাটান তিনি।  নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র অনুযায়ী, ''গোটা দিন অসুস্থ বোধ করছিল শার্দূল। গায়ে খুব জ্বর ছিল। সেই কারণে ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে নামিয়ে নেয়। শার্দূল খুব দুর্বল ছিল। ওষুধ খেয়ে ড্রেসিং রুমে ঘুমিয় পড়েছিল। অসুস্থ শরীর নিয়েও ব্যাট করতে চেয়েছিল শার্দূল।''

ইরানি কাপের বাকি ক'দিন শার্দূল খেলতে পারেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।